গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় জেনে নিন

চেহারা সুন্দর করার খাবার জানুনগর্ভাবস্থায় অনেক মা রয়েছে যারা বাচ্চার গায়ের রং নিয়ে অনেক বেশি চিন্তিত থাকেন। তারা চায় তাদের বাচ্চার গায়ের রং যেন একটু উজ্জ্বল হয়। আপনি যদি এমনটা চান তাহলে আমার লেখা আর্টিকেল গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এটি পড়ুন। কারণ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এই আর্টিকেল দ্বারা আমি আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় এবং গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
আশা করছি গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সেই সকল খাবার খেলে আপনার বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হবে।

গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে কি হয়

আমরা সকলেই জানি খেজুর একটি পুষ্টিকর ফল। খেজুরের ভেতর এমন উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। আমরা জানি খেজুর আমাদের জন্য পুষ্টিকর কিন্তু অনেকেই জানিনা আসলেই একটি খেজুরে কি কি উপাদান রয়েছে। একটি খেজুরের উপস্থিত উপাদানগুলো হচ্ছেঃ
  • আঁশ
  • ম্যাগনেসিয়াম
  • পটাশিয়াম
  • লৌহ
এ ছাড়াও ভিটামিনের মধ্যে রয়েছেঃ

  • ভিটামিন কে
  • ভিটামিন বি ৬

এ সকল উপাদান গুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। আর যেহেতু এ সকল উপাদান একজন সাধারণ মানুষের জন্য এতটা বেশি উপকারী সেহেতু বোঝা যাচ্ছে যে গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য এটি অনেক বেশি উপকারী। গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে গর্ভবতী মায়ের কি কি উপকার হয় সেই সম্পর্কে জেনে নিন।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ গর্ভাবস্থায় অনেক সময় দেখা যায় গর্ভবতী মহিলার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর এই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমাতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে খেজুর অনেক বেশি সাহায্য করে।
হজম শক্তি উন্নত করেঃ একটি খেজুরে উপস্থিত রয়েছে আঁশ যা আমাদের শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। আর গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা এটি একটি সাধারণ সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। তাই আপনি যদি গর্ভাবস্থায় খেজুর খান তাহলে তা আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করবে এবং হজম শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করবে।

সন্তান প্রসবের প্রক্রিয়াকে সহজ করেঃ অনেক সময় অনেক গর্ভবতী মায়ের সন্তান প্রসব কালীন বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়ে থাকে। কিন্তু অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে আপনি যদি গর্ভাবস্থায় খেজুরখান তাহলে এটি আপনার প্রসব ব্যথা কমাতে এবং সন্তান প্রসবে অনেক বেশি সাহায্য করে।

শক্তি যোগাতে সাহায্য করেঃ একটি খেজুর কে কার্বোহাইড্রেইট এর প্রাকৃতিক উৎস বলা হয়ে থাকে। এটি একজন গর্ভবতী মহিলার শক্তি যোগাতে এবং দুর্বলতা কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে।

উপরের বর্ণনা শুনে বোঝা যাচ্ছে যে একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য খেজুর খাওয়া অনেক বেশি উপকারী। যেহেতু খেজুরে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান উপস্থিত রয়েছেন তাই এটি গর্ভবতী মহিলা এবং গর্ভে থাকা সন্তান দুজনের জন্যই উপকারী। তাই আপনার গর্ভবতী অবস্থায় নিয়মিত খেজুর খাওয়া শুরু করুন। এতে করে আপনি ও আপনার শিশু দুজনের জন্যই উপকার বয়ে নিয়ে আসবে।

গর্ভাবস্থায় নুডুলস খেলে কি হয়

বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলের পছন্দের খাবারের তালিকায় নুডুলস রয়েছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটি যেন একটি অতি জনপ্রিয় খাবার। অল্প সময়ে তৈরি এবং স্বাদযুক্ত খাবার হওয়ায় এটি যেন পছন্দের তালিকার প্রথমেই জায়গা করে নিয়েছে। সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে বিকালের নাস্তা অথবা টিফিনের খাবার হিসাবে নুডুলস এটি একটি জনপ্রিয় খাবার। 

আমাদের খাবারের তালিকায় নুডুলস পছন্দের খাবার ঠিকই কিন্তু আমরা কি এটা জানি যে আমাদের শরীরের জন্য নুডুলস কতটা উপকারী। নুডুলসে এমন অনেক উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী নয়। এখন বাজারে অনেক রকমের নুডুলস পাওয়া যাচ্ছে যা আমাদের শরীরের উপকারী নয়।

এখন আমরা জেনে নিই নুডুলসে কি কি উপাদান রয়েছেঃ

ময়দাঃ একটি নুডুলস তৈরির প্রধান উপাদান হচ্ছে ময়দা। আর এই ময়দা হচ্ছে গমের ময়দা যা নুডুলস তৈরির পূর্বে পরিশোধিত করা হয়ে থাকে। আর এই ময়দা পরিশোধিত করার সময় ময়দার যেই গুণগত পুষ্টি থাকে তা নষ্ট হয়ে যায়। সেহেতু বলা যায় যে নুডুলস যে সকল ময়দা দ্বারা তৈরি করা হয় সেই ময়দায় কোনরকম বজায় থাকে না।
লবণঃ একটি নুডুলসে প্রচুর পরিমাণ লবণ যোগ করা হয়ে থাকে। যা আমাদের শরীরের জন্য কখনোই উপকারী নয়।

সংরক্ষণকর বস্তুঃ নুডুলসের প্যাকেটের ভেতর নুডুলস দীর্ঘদিন ভালো থাকার জন্য এবং সংরক্ষণ রাখার জন্য কিছু কৃত্রিম রাসায়নিক উপাদান মেশানো হয় যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।

এম এস জিঃ এটি এমন একটি উপাদান যা যেকোনো খাবারের স্বাদ অনেক গুণ বাড়িয়ে তোলে। আর সেই কারণে এই উপাদান নুডুলস এ প্রচুর পরিমাণ প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। এটি স্বাদ বৃদ্ধিতে অনেক বেশি সাহায্য করলেও আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।

অতিরিক্ত মাত্রায় ফ্যাটঃ নুডুলস তৈরি হয় বিভিন্ন রকম প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতির মাধ্যমে। আর নুডুলসের ভেতরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট। যা আমাদের শরীরকে ঝুঁকির দিকে নিয়ে যাই।

আমরা এতক্ষণে জানলাম একটি নুডুলসের মধ্যে কি কি উপাদান উপস্থিত রয়েছে। এবার জানব গর্ভাবস্থায় নুডুলস খেলে কি হয়ঃ

  • নুডুলস এ যেহেতু প্রক্রিয়াজাতকরণ ময়দা ব্যবহার করা হয় সেহেতু এই ময়দার ভেতর কোনরকম পুষ্টি বিদ্যমান থাকে না। আর যেহেতু এর ভেতর কোনরকম পুষ্টি থাকে না সেহেতু এটি একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য কখনোই উপযুক্ত খাবার নয়।
  • নুডুলসে প্রচুর পরিমাণ লবণ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যা একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য ক্ষতিকারক। অতিরিক্ত লবণ গর্ভবতী অবস্থায় গর্ভে থাকা সন্তানের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
  • নুডুলস দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করার কারণে যে সকল কৃত্রিম রঙ ও রাসায়নিক উপাদান প্রয়োগ করা হয় সে সকল একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য অপকার বয়ে নিয়ে আসতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় নুডুলস খাওয়ার পূর্বে একটু বুঝে শুনে খাবেন।
  • নুডুলসের স্বাদ বাড়ানোর জন্য এতে ব্যবহার করা হয় এস এম জি । যা খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মহিলার ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে তার পাশাপাশি মাথা ব্যথা ও রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • নুডুলসে অন্যান্য খাবারের তুলনায় ফাইবার ও প্রোটিন কম থাকে।
  • গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত নুডুলস খাবার ফলে বাচ্চা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ অতিরিক্ত নুডুলস খাওয়ার ফলে অকাল এ গর্ভাপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয়

আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা ফাঁকা সময় বসে মুড়ি খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আবার অনেক গর্ভবতী মা রয়েছে যারা গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেয়ে থাকেন। কিন্তু অনেক সময় তাদের মনে প্রশ্ন জাগে গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয়। গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি বাচ্চার কোনরকম ক্ষতি হয়। 

অনেকেই এই ভয়ে থাকেন। আমরা সকলেই জানি চাল থেকে মুড়ি তৈরি করা হয়। আর এই মুড়ি তৈরি করার জন্য আগুনের উপর চাল ভাজতে হয়। কিন্তু এই চাল আগুনে ভাজার ফলে তার গুণগতমান কি একই থাকে তা আমরা বলতে পারব না। আগে আমরা জেনে নেই মুড়ি তে কতটুকু ক্যালরি আছে।

মুড়িতে যে সকল পুষ্টিগুণ বিদ্যমান রয়েছে সেগুলো হলঃ

  • ফাইবার ০.২
  • ফসফরাস ১৪ মিলিগ্রাম
  • পটাশিয়াম ১৬ মিলিগ্রাম
  • ম্যাগনেসিয়াম ৪ গ্রাম
  • আইরন ৪.৪০ মিলিগ্রাম
  • সোডিয়াম ০.৭ মিলিগ্রাম
  • প্রোটিন ০.৯ গ্রাম
  • ফ্যাট ০.১ মিলিগ্রাম
  • ১৪ গ্রাম মুড়িতে ৫৬ টি ক্যালরি আছে
মুড়ি খাওয়ার উপকারঃ মুড়ি খাওয়ার ফলে খুব সহজেই আপনার গ্যাসের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। যে সকল ব্যক্তির গ্যাসের সমস্যায় ভুগে থাকেন তারা গ্যাসের সমস্যা সমাধানের জন্য মুড়িকে মহা ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। মুড়ি এমন একটি উপাদান যা খাওয়ার ফলে আপনার দুই মিনিটের ভেতর পেটের গ্যাসের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। 
এছাড়াও মুড়িতে উপস্থিত আয়রন ও ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের হাড়ের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এছাড়াও আমাদের হার্ট অ্যাটাক ও হৃদরোগের সমস্যা কমাতে মুড়ি অনেক বেশি সাহায্য করে থাকে। এগুলোর পাশাপাশি আপনি আপনার ওজন কমানোর প্রধান অস্ত্র হিসাবে মুড়ি আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। মুড়ি এমন একটি উপাদান যা আপনার ওজন কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে।

মুড়ি খাওয়ার অপকারঃ মুড়ি খাওয়ার ফলে যেমন একজন ব্যক্তির বিভিন্ন রকম উপকার হয় ঠিক তেমন কিছু অপকার ও দেখা দেয়। কোন ব্যক্তি অতিরিক্ত পরিমাণ মুড়ি খেলে তার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। 

অতিরিক্ত মুড়ি খাওয়ার ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও মুড়িতে যদি লবণের পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে সেটি একজন ব্যক্তির টেনশন ও উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই মুড়ি খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই বুঝে শুনে এবং পরিমাণ মতো মুড়ি খেতে হবে।

আমরা জানলাম মুড়িতে ক্যালরির পরিমাণ কত এবং মুড়ি খেলে তার উপকার কি এবং অপকার কি। এখন আমরা জানবো গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয়ঃ

একজন মহিলা যখন গর্ভধারণ করে তখন তার শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেয়। আর সেই শারীরিক পরিবর্তনের সাথে সাথে শরীরে বিভিন্ন রকম পুষ্টির ঘাটতি ও শরীরের দুর্বলতা প্রকাশ পায়। মুড়িতে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান উপস্থিত। 

যা একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য অনেক বেশি উপকারী বলা যেতে পারে। কারণ মরিতে রয়েছে আইরন, পটাশিয়াম, প্রোটিন, ফাইবার ইত্যাদি জাতীয় পুষ্টি উপাদান। আর এ সকল পুষ্টি উপাদান একজন গর্ভবতী মহিলার শরীরে শক্তি যোগান দিতে সাহায্য করে। এর ফলে গর্ভে থাকা সন্তান ও সুস্থ থাকে। 

যেহেতু মুড়িতে পুষ্টি উপাদান এর পরিমাণ অনেক বেশি সেহেতু এটি খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও গর্ভবতী অবস্থায় প্রায় সব সময় বমি বমি ভাব মনে হয়। আপনি আপনার এই বমি বমি ভাব দূর করার জন্য মুড়ি খেতে পারেন। মুড়ি খাওয়ার ফলে আপনার বমি বমি ভাব দূর হয়ে যাবে।

গর্ভাবস্থায় বেশি ঝাল খেলে কি হয়

অনেক মা বোন রয়েছে যারা ঝাল জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করে। তারা যেকোনো খাবারের অতিরিক্ত ঝাল খেয়ে থাকেন। আর তারা গর্ভাবস্থায় ও অতিরিক্ত ঝাল জাতীয় খাবার খায়। কিন্তু তারা জানে না গর্ভাবস্থায় বেশি ঝাল খেলে কি হয়। 

কিন্তু আমরা সকলেই জানি অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার অথবা ঝাল জাতীয় খাবার আমাদের শরীরের জন্য কখনোই উপকারী নয়। অতিরিক্ত ঝাল জাতীয় খাবার আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আর এটা যদি বলা হয় গর্ভাবস্থায় তাহলে এটি আরো বেশি ক্ষতিকারক হিসেবে রূপ নেই। গর্ভাবস্থায় কখনোই খুব বেশি ঝাল জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়।

কেন গর্ভাবস্থায় বেশি ঝাল খাওয়া উচিত নয়ঃ কখনোই অতিরিক্ত ঝাল জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। এতে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যা হতে পারে। আর গর্ভাবস্থায় এটির ব্যাপারে সতর্কতা একটু বেশি অবলম্বন করতে হবে। 

কারণ গর্ভধারণ অবস্থা এমন একটি অবস্থা যে সময় যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে বাচ্চার উপর প্রভাব পড়ার কারণে চিকিৎসকগণ অন্য কোন ঔষধ খেতে মানা করে। তাই অতিরিক্ত ঝাল খাওয়ার ফলে যদি গর্ব ধারণকৃত মহিলার কোনরকম সমস্যা হয় তাহলে সে অন্য কোন ঔষধ খেতে পারবে না। 

এছাড়াও গর্ভধারণ অবস্থায় একটি প্রধান সমস্যা হচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা। অতিরিক্ত ঝাল খাওয়ার ফলে একজন মহিলার ক্ষেত্রেও অনেক বেশি সমস্যা দেখা দিবে। তাই অবশ্যই গর্ভধারণ কালীন অতিরিক্ত মসলা ও ঝাল জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হব হবে।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়

গর্ভধারণের পর প্রতিটি মা চান যেন তার কোলজুড়ে একটি ফুটফুটে উজ্জ্বল বর্ণের শিশু জন্ম নেয়। কারণ আমরা এমন একটি সমাজে বসবাস করি যেখানে মানুষের গায়ের রং অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। তাই প্রতিটি মা চাই তার শিশুর গায়ের রং যেন উজ্জ্বল হয়। অনেক মা রয়েছেন যারা চিন্তিত থাকেন এবং মনে মনে ভাবেন গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়। 

আমরা সকলেই জানি গর্ভকালীন অবস্থায় অন্যান্য সময়ের চেয়ে একজন মহিলার অনেক বেশি খিদে বেড়ে যায়। তাই তারা একটু পরপর কিছু না হয় কিছু খেতে থাকে। আর সেই সকল খাবার খেয়ে যদি নিজের গর্ভে থাকা শিশু গায়ের রং উজ্জ্বল হয় তাহলে তো সেটি সোনাই সোহাগা হিসাবে কাজ করে। 

আমাদের আশেপাশে এমন অনেক খাবার রয়েছে যে সকল খাবার যদি কোন গর্ভবতী মহিলা গর্ভাবস্থায় খেয়ে থাকে তাহলে তার গর্ভে থাকা সন্তানের উপর প্রভাব পড়ে। একজন গর্ভবতী মহিলা যে সকল খাবার খাই সেই সকল খাবার এর প্রধান গর্ভবতী মহিলার পাশাপাশি তার গর্ভে থাকা সন্তানের উপর প্রভাব ফেলে। তাই একজন গর্ভবতী মহিলার উচিত বুঝে শুনে খাবার খাওয়া।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এটা জানার পূর্বে এটা জেনে নিন গর্ভাবস্থায় একজন মহিলার কি কি জাতীয় খাবার খাওয়া উচিতঃ

  • গর্ভাবস্থায় শর্করা জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। যেমনঃ ভাত, রুটি, ভুট্টা, কর্নফ্লেক্স ইত্যাদি জাতীয় খাবার।
  • গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মহিলাকে অবশ্যই ডিম খেতে হবে।
  • সবুজ রঙের শাকসবজি বেশি বেশি খেতে হবে।
  • তাজা তাজা ফলমূল খাওয়ার দিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
  • দুধ জাতীয় খাবার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
  • মাছ, মাংস ও ডাল একজন গর্ভবতী মহিলার খাবার তালিকায় অবশ্যই রাখতে হবে।
  • একজন গর্ভবতী মহিলাকে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

এবার আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরব গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়ঃ

টমেটোঃ এটি আমাদের দেশে সাধারণত শীতকালীন সবজি হিসেবে পরিচিত। টমেটো এমন ধরনের একটি সবজি যা আমরা রান্না করে অথবা কাঁচা খেতে পছন্দ করি। টমেটো আমাদের সকলের ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী। 

এর পাশাপাশি গর্ভাবস্থায় টমেটো খেলে গর্ভে থাকা শিশুর গায়ের রং উজ্জ্বল হয়। টমেটোতে রয়েছে লাইকোপেন যা আমাদের শরীরে থাকা ক্ষতিকর আল্ট্রা ভায়োলেট রে এর বিপরীতে যুদ্ধ করে আমাদের ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর আলো থেকে রক্ষা করে।

কমলাঃ আমরা সকলেই জানি কমলা তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় কমলা খেলে শিশুর শারীরিক গঠনে অনেক বেশি সাহায্য করে। এর পাশাপাশি শিশুর গায়ের রং উজ্জ্বল করতেও অনেক বেশি সাহায্য করে।

দুধঃ প্রতিটি গর্ভবতী মহিলার নিয়মিত দুধ খাওয়া অত্যাবশ্যক। দুধ খাওয়ার ফলে গর্ভে থাকা শিশুর গায়ের রং উজ্জ্বল হবে এটি একটি প্রচলিত ধারণা। এর পাশাপাশি মায়ের শরীরের ক্যালসিয়ামের জন্য ও শিশুর শারীরিক গঠনের জন্য দুধ অনেক বেশি উপকারী।

জাফরান দুধঃ অনেক মহিলা রয়েছেন যারা গর্ভাবস্থায় দুধের সাথে জাফরান দিয়ে খেয়ে থাকেন। কারণ অনেকেই মনে করেন দুধের সাথে জাফরান মিশিয়ে পান করলে গর্ভে থাকা শিশুর গায়ের রং উজ্জ্বল হয়।

চেরি ও বেরি জাতীয় ফলঃ চেরি ও বেরি জাতীয় ফল আমাদের ত্বককে সুন্দর রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে। চেরি ও বেরি জাতীয় ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বকের ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় এই ধরনের ফল খাওয়ার ফলে বাচ্চার গায়ের রং উজ্জ্বল হয়।

নারিকেলঃ গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত নারিকেল খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। নারিকেল খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই বুঝে শুনে আপনাকে নারকেল খেতে হবে। কিন্তু প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী বলা যায় যে নারিকেল খাওয়ার ফলে গর্ভে থাকা শিশুর গায়ের রং উজ্জ্বল হয়।

মৌরিঃ অনেকেই রয়েছে যারা বমি ভাব দূর করার জন্য মৌরি ভেজানো পানি খেয়ে থাকেন। কারণ মৌরি ভেজানো পানি বমি ভাব দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এর পাশাপাশি মৌরি ভেজানো পানি গায়ের রং উজ্জ্বল করতে অনেক বেশি কার্যকরী। তাই গর্ভবতী মহিলাদের প্রতিদিন সকালে মৌরি ভেজানো পানি পান করা উচিত।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়

আমরা মনে করি গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলা যে সকল খাবার খায় সেই সকল খাবার শুধুমাত্র গর্ভবতী মহিলার উপকার করে। কিন্তু গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলা যে সকল খাবার খায় সে সকল খাবারের প্রভাব গর্ভবতী মহিলার সাথে সাথে তার গর্ভে থাকা শিশুর উপর প্রভাব পড়ে। একটি শিশুর শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি মানসিক বিকাশ ও গর্ভাবস্থায় শুরু হয়। 

তাই গর্ভে থাকা শিশুটির বুদ্ধির বিকাশ এবং বুদ্ধিমান করার জন্য গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মহিলাকে তার খাবারের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। অনেক মহিলা রয়েছে যারা চিন্তায় থাকেন গর্ভ অবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় আবার অনেকে চিন্তায় থাকেন গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়। আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন এবং মনে মনে চান যে বাচ্চার চেয়ে আপনার বাচ্চা একটু বুদ্ধিমান হবে।

তাহলে সেটির জন্য আপনাকে বাচ্চা গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন কিছু কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। আর সেই পদক্ষেপ গুলো হচ্ছে খাবার। কিছু কিছু খাবার রয়েছে যে সকল খাবার আপনার গর্ভে থাকা শিশুর বুদ্ধির বিকাশ ঘটাতে অনেক দেশের সাহায্য করবে। সে সকল খাবার আপনাকে বেছে খেতে হবে। সে সকল খাবার গুলো সম্পর্কে আলোচনা করলাম।

মাছঃ আমাদের দেশে অনেক ধরনের মাছ পাওয়া যায়। কারণ আমরা মাছ ভাতে বাঙালি। আমরা মাছের সাথে ভাত খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে থাকি। আর এই মাছ আপনার গর্ভে থাকা শিশুর মানসিক বিকাশে অনেক বেশি সাহায্য করে। কিন্তু মনে রাখতে হবে মাছ মানেই যে সকল মাছ তা কিন্তু নয়। 

বিশেষ বিশেষ কিছু মাছ রয়েছে যেগুলো আপনার গর্ভে থাকা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। যেমনঃ স্যামন মাছ, টুনা মাছ,ম্যাকরেল মাছ ইত্যাদি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে সপ্তাহে দুইবারের বেশি মাছ খেলে গর্ভে থাকা শিশুর মানসিক বিকাশ অনেক বেশি হয়।

ডিমঃ গর্ভাবস্থায় ডিম খাওয়া গর্ভবতী মহিলার জন্য অনেক বেশি জরুরী। কারণ ডিমে থাকে প্রোটিন ও আইরন যা একটি শিশুর ওজন বাড়াতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এর পাশাপাশি ডিমে উপস্থিত অ্যামিনো এসিড কোলিন সমৃদ্ধ। যার কারণে গর্ভে থাকা শিশুর মস্তিষ্কের গঠন ভালো হয় ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

আয়োডিনযুক্ত খাবারঃ গর্ভে থাকা অবস্থায় বাচ্চার যদি আয়োডিনের অভাবে দেখা দেয় তাহলে সন্তানের আইকিউ লেভেল কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই গর্ভাবস্থায় অবশ্যই আয়োডিনযুক্ত লবণ খেতে হবে।

ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারঃ যে সকল খাবারে ভিটামিন ডি রয়েছে সে সকল খাবার গর্ভাবস্থায় খেতে হবে। গর্ভাবস্থায় যদি একজন শিশুর ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দেয় তাহলে সেই শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ সঠিকভাবে হবে না। তাই যদি আপনি চান আপনার শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে তাহলে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার রাখুন।

কপার ও জিংক জাতীয় খাবারঃ যে সকল খাবারে কপার ও জিংক বিদ্যমান থাকে সে সকল খাবার বাচ্চার মস্তিষ্কের কোষ সঠিকভাবে বৃদ্ধি পেতে অনেক বেশি সাহায্য করে। যেমন শস্য জাতীয় খাবার এবং কাজুবাদাম, অ্যাভোকাডো, মটরশুঁটি ও বিট। গর্ভাবস্থায় যদি চান আপনার শিশুর মানসিক বিকাশ বেশি পরিমাণে হয় তাহলে এই সকল খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।

সবুজ শাকসবজিঃ সবুজ শাকসবজি গর্ভে থাকা শিশুর শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য অনেক বেশি উপকারী। তাই প্রতিদিন আপনার খাবার তালিকায় সবুজ শাকসবজি জাতীয় খাবার রাখার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বৃদ্ধি তাড়াতাড়ি হবে।

শেষ কথা

নিশ্চয়ই আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য আমার লেখা গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এই আর্টিকেলটি পড়ে খুজে পেয়েছেন। আপনাদের সুবিধার জন্য আমি এই আর্টিকেলে গর্ভাবস্থায় খাবার সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। 

গর্ভাবস্থায় কি কি খাবার খেলে কি কি উপকার হবে এবং কি কি খাবারের প্রভাব আপনার বাচ্চার উপর কিভাবে পড়বে সেই সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করছি তথ্যগুলো পড়ে আপনি অনেক বেশি উপকৃত হবেন। এরকম আরো তথ্য পেতে দ্যা বর্ষা ওয়েবসাইটের অন্যান্য আর্টিকেলগুলো পড়ুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url