পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

 

পায়ের গোড়ালি ব্যথা কি আপনার জন্য বিরক্তিকর হয়ে উঠেছে? পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় জানার চেষ্টা করছেন কিন্তু পারছেন না। তাহলে নিশ্চিন্তে আমার লেখা পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন। কারণ এই আর্টিকেলে পায়ের গোড়ালি ব্যথার ব্যায়াম ও পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
কিভাবে সে সকল ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন জানতে পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়আর্টিকেলটি পড়ুন। আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে ভালো ফলাফল পাবেন। আপনাদের প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টায় আর্টিকেলটি লিখা হয়েছে।

পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়ঃ ভূমিকা

পায়ের ব্যথা গোড়ালি ব্যথা আমাদের মাঝে একটি কমন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা অনেক সময় হঠাৎ দেখি হাঁটতে সমস্যা হচ্ছে। চলাফেরা করার সময় পায়ের গোড়ালি ব্যথা আমরা ততটা গুরুত্ব দিই না। ফলে আস্তে আস্তে সেই সমস্যা বড় আকারের সমস্যাতে রুপান্তরিত হয়। তাই আমাদের উচিত যে কোন সমস্যা সমাধান অল্প অবস্থাতেই করা। কিন্তু সমস্যা সমাধান করার আগে আমাদের জানতে হবে পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া  উপায় গুলো কি কি। আজকের আর্টিকেল টি তাদের জন্য যাদের পায়ের গোড়ালির সমস্যায় ভুগছেন। পায়ের গোড়ালির সমস্যার সমাধান বিভিন্ন রকম উপায়ে হতে পারে।

পায়ের গোড়ালি ব্যথা করে কেন

আপনি কি জানেন পায়ের গোড়ালি ব্যথা করে কেন? কিংবা পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় কি? পায়ের গোড়ালি ব্যথা সমাধান খোঁজার আগে জানতে হবে পায়ের গোড়ালি ব্যথা কেন হয়। সাধারণত ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সী মানুষের ভেতরে পায়ের গোড়ালি ব্যথা সমস্যা দেখা দেয়। বিভিন্ন কারনে পায়ের গোড়ালি ব্যথা হতে পারে। সাধারণত যারা একটু ভারী বা মোটা হয় তাদের পায়ের গোড়ালি ব্যথা দেখা যায়। তা ছাড়াও যারা দীর্ঘ সময় ধরে শক্ত শোলের জুতা পরে ও যারা হিল পরে তাদেরও পায়ের গোড়ালি ব্যথা অনুভব করতে পারেন।

তাছাড়াও পায়ের গোড়ালির নিচের হাড়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে পায়ের গোড়ালি ব্যথা হতে পারে। কোন রকম ভাবে পা মচকালেও পায়ের গোড়ালি ব্যথা হয়ে থাকে। আবার রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ যদি বেড়ে যায় তাহলেও গোড়ালির ব্যথা হয়ে থাকে যাকে গাটে বাত ও বলা যায়।আমাদের পায়ের হাড় ক্ষয়ের পরেও পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হতে পারে। অতিরিক্ত খেলাধুলা বা ব্যায়াম করার ফলে হার ভেঙ্গে গেলে পায়ের গোড়ালি ব্যথা অনুভব হতে পারে।

পায়ের গোড়ালি ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

পায়ের গোড়ালি ব্যথা আমাদের কাছে একটি কমন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনাদের সেই সমস্যা সমাধান করার জন্য আজকে আমি আপনাদের সামনে পায়ের গোড়ালি ব্যথার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

কারণঃ আমাদের পায়ের ব্যথার কারণ জানতে হলে আগে জানতে হবে আমাদের পায়ের গঠন আকৃতি। আমাদের পা আঙ্গুলের সামনে ছোট ছোট হাড় এবং পেছনের গোড়ালিতে একটি বড় হাত এবং অসংখ্য ছোট ছোট হাড়ের সংযুক্ত হয়ে গঠিত। একটি হাড়ের সাথে আরেকটি হাড়ের সংযুক্ত রয়েছে প্লাটার ফাসা দ্বারা। আমাদের শরীরের পুরো চাপ যেন পায়ের উপর না পড়ে তাই এই প্লাটার ফাসা শক এবজরবারের মতো কাজ করে থাকে। আর এই প্লাটার ফাসাই যদি কোন ইনফ্লামেশন হয় তাহলে পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা অনুভূতি হয়। যেমন যদি ওজন বেড়ে যায় বা শক্ত কোন জুতা বা হিল ব্যবহার করলে। অল্প ব্যথা থাকাকালীন যদি হাঁটাচলা অব্যাহত থাকে তাহলে এই ব্যথা বেশি অনুভূতি হয়।
প্রতিকারঃ পায়ের গোড়ালির ব্যথা যেহেতু এক ধরনের ইনজুরি সেহেতু অবশ্যই পায়ের গোড়ালির ব্যথা দেখা দিলে হাঁটাচলা কমিয়ে দিতে হবে এবং অবশ্যই বিশ্রাম নিতে হবে। পায়ের গোড়ালির ব্যথাকৃত স্থানে বরফ বা আইস প্যাক ব্যবহার করতে হবে। অবশ্যই নিজের ওজনের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। ওজন বেশি হলে ওজন কমানোর চেষ্টা করতে হবে। অবশ্যই নিচু ও আরামদায়ক এবং নরম ধরনের জুতা ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়াও কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। তাতেও যদি ব্যথা না কমে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাবেন এবং কিছু নিয়ম মেনে ব্যায়াম করতে হবে।

পায়ের গোড়ালি ব্যথার ব্যায়াম

অনেকে রয়েছেন যারা পায়ের ব্যথা ব্যায়াম করার মাধ্যমে কমাতে চান। কিন্তু জানেন না কি কি ব্যায়াম করতে হয়। তাই আপনাদের জন্য পায়ের গোড়াল ব্যথার ব্যায়াম আলোচনা করলাম। আশা করছি আপনারা উপকৃত হবেন।

পায়ের গোড়ালি ব্যথা হলে একটি আইস প্যাড অথবা যদি আইস প্যাড না থাকে তাহলে একটি পানির বোতল ফ্রিজে রাখতে হবে। ফ্রিজ থেকে পানির বোতলটি বা আইস প্যাড টি বের করে মেঝেতে অথবা বিছানার উপর রাখুন এবং তার ওপর গোড়ালি রেখে পা আস্তে আস্তে নাড়াতে হবে। তাহলে দেখবেন পায়ের গোড়ালি ব্যথা অনেকটা কমে গেছে।

বিছানায় সোজাসুজি শুয়ে পড়ুন। এক পা ভাজ করে রাখুন আর এক পা সোজা করে। যেই পা সোজা আছে সেই পা সোজা করেই হালকা উপরে তুলুন। তারপর সেই পায়ের আঙ্গুল গুলো আপনার দিকে বাঁকিয়ে নিয়ে আসুন যতটা সম্ভব। তারপর এক থেকে দশ পর্যন্ত গুনুন। এভাবে একে একে দুইটি পায়ের ব্যায়াম করুন। দেখবেন তাতে করে আপনার পায়ের গোড়ালিতে এক ধরনের টান অনুভব করছেন। ফলে আপনার গোড়ালির ব্যাথা অনেকটা কমে আসবে।

সোজাসুজি ভাবে দাঁড়িয়ে যান। এবার শরীরের পুরো ভর আঙুলের উপর দিয়ে গোড়ালি উপরের দিকে উঠিয়ে রাখুন। এভাবে ১ থেকে ১০ পর্যন্ত গুনুন।

আপনার পায়ের তলায় একটি তোয়ালে ফেলুন। তোয়ালের শুরুর দিকে আপনার পা রাখুন। এবার আপনার পায়ের আঙ্গুল দিয়ে তোয়ালে টি আস্তে আস্তে আপনার দিকে টানুন। এভাবে তোয়ালের এক সাইড থেকে শুরু করুন এবং আর এক সাইডে শেষ করুন। একবার হয়ে গেলে আবার তোয়ালে টি সোজা করে ফেলুন। এভাবে এই ব্যায়ামটি দশবার করুন। এই ব্যায়ামটি করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন পায়ের গোড়ালি যেন না সরে যায়। পায়ের গোড়ালি একই জায়গায় থাকবে শুধু পায়ের আঙ্গুল গুলো নড়াচড়া করবে। আপনার পায়ের গোড়ালি ব্যথা অনেকটাই সেরে যাবে।

দুই পা সোজা করে বসুন। এবার একটি তোয়ালে নিন। ওয়ালের দুই সাইড দুই হাত দিয়ে ধরুন। এবার পায়ের আঙ্গুল গুলোতে তোয়ালের মাঝ বরাবর আটকান। দুই হাত দিয়ে তোয়ালে টা আস্তে আস্তে টানুন দেখবেন পায়ের আঙ্গুলে আস্তে আস্তে টান পড়ছে। তার সাথে সাথে পায়ের গোড়ালির দিকে টান পড়ছে। কিছুক্ষণ এভাবে তোয়ালে টেনে ধরে থাকুন। দেখবেন পায়ের গোড়ালির ব্যথা অনেকটা কমে এসেছে।
উল্টো হয়ে শুয়ে পড়ুন। দুই পা যেন একেবারে সোজা হয়ে থাকে। এবার আসতে আসতে পা উপরের দিকে উঠানোর চেষ্টা করুন। এভাবে পা উপরে তুলে 10 সেকেন্ড স্থির থাকুন। তারপর আস্তে আস্তে পা আবার নিচের দিকে নামিয়ে আনুন।

একটি চেয়ার নিন। চেয়ারের পেছনে দাঁড়িয়ে চেয়ার টি হাত দিয়ে ধরুন। তারপর এক পা পেছনের দিকে তুলুন। এবার চেয়ারে ভর দিন এবং অন্য পা গোড়ালি থেকে আস্তে আস্তে তুলুন ও পায়ের আঙ্গুলের উপর ভর দিয়ে দাড়ান।

পায়ের গোড়ালি ব্যথার হোমিও ঔষধ

আমরা অনেকে রয়েছি যারা সহজে ঔষধ খাওয়ার চেয়ে হোমিও ঔষধ খাওয়া বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। যদি আপনি সেই রকম হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য পায়ের গোড়ালি ব্যাথার হোমিও ঔষধ সম্পর্কে আলোচনা করলাম।

রাস টক্সঃ এটি পায়ের গোড়ালির ব্যথার একটি হোমিও ঔষধ। এই ঔষধ টি ব্যবহারের ফলে সকালে হাটতে গেলে গোড়ালির যেই ব্যথা হয় সেই ব্যথা আবার আস্তে আস্তে হাঁটলে যদি ব্যথা হয় সে সকল ব্যথা কমে যায়। এই ঔষধ টি পায়ের গোড়ালির ব্যথার জন্য খুবই উপকারী।

নেট্রাম কার্বঃ নেট্রাম কার্ব আপনার পায়ের গোড়ালির ফোলা ভাব ও পায়ের গোড়ালির ব্যথার জন্য খুবই উপকারী একটি হোমিও ওষুধ। এই ঔষধ সেবনের ফলে খুব তাড়াতাড়ি আপনার পায়ের গোড়ালির ব্যথা কমে যাবে।

ব্রায়োনিয়া অ্যালবঃ ব্রায়োনিয়া অ্যালব একটি হোমিও ঔষধ যা আপনার পায়ের গোড়ালির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে। এই ঔষধ ব্যবহারের ফলে খুব অল্প সময়ে ভালো ফলাফল পেয়ে থাকবেন।

পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

পায়ের গোড়ালি ব্যথা আস্তে আস্তে অনেক বড় ধরনের সমস্যায় রূপান্তরিত হচ্ছে। এই সমস্যা বেশিরভাগ সময় বয়স্কদের মাঝে দেখা দিলেও অল্প বয়স্কদের মধ্যেও মাঝে মাঝে এই সমস্যা দেখা যায়। বিভিন্ন রকম ব্যায়াম এবং ঔষধ এর মাধ্যমে পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানো সম্ভব। তা ছাড়াও কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করেও পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানো সম্ভব। নিচে আপনাদের সামনে পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় তুলে ধরা হলোঃ

হলুদের ব্যবহার করেঃ হলুদ আমাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকে। তাছাড়াও আমাদের পায়ের গোড়ালির ব্যথা কমাতে হলুদের অবদান অনেক। একটি পাত্রে সামান্য পরিমাণ হলুদ নেই। তার সাথে কিছুটা পরিমাণ অলিভ অয়েল তেল মেশাই। এবার মিশ্রণটি আপনার ব্যথার জায়গায় লাগান। দেখবেন আপনার পায়ের গোড়ালির ব্যথা অনেকটা কমে এসেছে।

আদার ব্যবহার করেঃ আদাও হতে পারে আপনার পায়ের গোড়ালির ব্যথার সমস্যার সমাধানের একটি উপাদান। কারণ আদার ভেতরে আছে ব্যথা নাশক ক্ষমতা। সামান্য পরিমাণ আদা বেটে পেস্ট করে নিন। তার সাথে সামান্য পরিমাণ সরিষার তেল যোগ করি। দুইটি উপাদান ভালোভাবে একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার মিশ্রণটি ব্যথার জায়গায় লাগান। দেখবেন ব্যথা আগের থেকে অনেকটাই কমে গেছে।

আইস প্যাকঃ আইস প্যাক ও পায়ের গোড়ালি ব্যথা নিরাময় করতে পারে। বরফ কোন জায়গায় ব্যবহার করলে সেই জায়গার রক্ত চলাচল কমে যায় ফলে ব্যথা বা যন্ত্রণা বোঝা যায় না। তাই বলা যেতেই পারে যে গোড়ালির ব্যথা কমাতে বরফ বা আইস প্যাক অনেক বেশি কার্যকরী।
বেকিং সোডাঃ বেকিং সোডা ও পারে পায়ের গোড়ালির ব্যথা কমাতে। একটি পাত্রে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা নিন। বেকিং সোডায় কয়েক ফোটা পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এবার পেস্টটি ব্যথার জায়গায় মাখিয়ে রাখতে হবে। পায়ের গোড়ালিতে পেস্ট মাখানোর পর পরিষ্কার ব্যান্ডেজ এর কাপড় দিয়ে বেঁধে দিতে হবে।

তিসির তেলঃ আপনার যদি গোড়ালির হাড় বেড়ে গিয়ে ব্যথা হয় তাহলে এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। এটি একটি ওমেগা- থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত তেল। যা আপনার পায়ের গোড়ালির হার বেড়ে যাওয়ার কারণে সৃষ্টিকৃত ব্যথা দূর করে থাকেন। এক টুকরা ব্যান্ডেজের কাপড় তেলে ডুবিয়ে ব্যথার জায়গায় রেখে তোয়ালে বা প্লাস্টিকের কাগজ দিয়ে বেঁধে রাখলে খুব ভালো উপকার পাওয়া যায়।

পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়ঃ শেষ কথা

পায়ের গোড়ালির ব্যথা এমন একটি সমস্যা যার কারণে আমাদের চলাচল এবং যেকোনো কাজের সমস্যা সৃষ্টি করে। আমরা যখন অল্প ব্যথা অনুভব করি তখন এই বিষয় নিয়ে ততটা ভাবি না। যখন ব্যথা খুব বেশি বেড়ে যায় তারপর এটা নিয়ে চিন্তা করি। যেটা করা একেবারেই ঠিক নয়। যখন পায়ের ব্যথা অল্প দেখা দেবে তখনই আমাদের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কারণ কোন সমস্যা অল্পতেই খুব তাড়াতাড়ি সমাধান করা যাই।

আপনাদের কথা ভেবে আপনাদের সুবিধার্থে পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় ও ব্যায়াম এবং ওষুধ এর নাম উপরে আলোচনা করলাম। আশা করছি আর্টিকেলটি পরে আপনারা উপকৃত হবেন। আশা করছি ভবিষ্যতেও এরকম তথ্য আমরা আপনাদের দিতে সক্ষম হব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url