বিটের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেল দ্বারা আপনাদের সামনে বিটের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমরা আমাদের আর্টিকেল বিটের উপকারিতা ও অপকারিতা এর মাঝে আপনাদের সামনে বিটরুট নিয়ে আলোচনা করব। বিটরুট সম্পর্কে খুঁটিনাটি সকল তথ্য পেতে বিটের উপকারিতা ও অপকারিতা আর্টিকেলটি পড়ুন।
বিটের উপকারিতা ও অপকারিতা
আশা করছি আপনারা আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে পারবেন বিটরুট আমাদের জন্য কতটা উপকারী এবং গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা।

বিটরুট কি

বিট রুট এক ধরনের সবজি। যা এখনো আমাদের মাঝে ততটা পরিচিতি পাইনি।অনেকে রয়েছেন যারা বিটুর রোড ও সবজিটা এর আগে কখনো দেখেননি অথবা নাম ও শোনেননি। গ্রামাঞ্চলে এই সবজি খুব একটা দেখা না গেলেও শহরাঞ্চলে এই সবজি দেখা যায়। 

গাঢ়ো গোলাপি বা লালচে রংয়ের হয়ে থাকে এই সবজি। বিটরুট শীতকালীন সবজি হলেও বর্তমান সময়ে সব সময় এই সবজি দেখা যায়। এই সবজির মাঝে বিভিন্ন রকম পুষ্টিগুণ এবং ঔষধিগুন থাকায় এই সবজিকে সুপার ফুড ও বলা হয়।

বিট খেলে কি হয়

আমাদের মাঝে অনেকে রয়েছেন যাদের মনে প্রশ্ন জাগে বিট খেলে কি হয়? বিট রুট এর গুনাগুন সম্পর্কে আপনিও জানলে অবাক হবেন। আপনার যদি বিট রুট সবজি পছন্দ না হয়ে থাকে তাহলে আজ থেকেই বিটরুট খাওয়া শুরু করবেন যদি এর গুণাগুণ সম্পর্কে জানেন।বিটরুট এর মাঝে উপস্থিত পুষ্টি উপাদানঃ
  • ভিটামিন এ
  • ভিটামিন সি
  • ভিটামিন বি৬
  • ম্যাগানিজ
  • ক্যালসিয়াম
  • ম্যাগনেসিয়াম
  • আইরন
  • জিংক
  • আয়োডিন
  • ফোলেট
  • ফাইবার
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
উপরে উল্লেখিত উপাদান গুলো বিটরুট সবজির মধ্যে উপস্থিত রয়েছে। যা খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকম সমস্যা সমাধান হয়। আমাদের শরীরে এমন কিছু সমস্যা রয়েছে যে সকল সমস্যা আপনি বিটরুট খাওয়ার মাধ্যমে সমাধান করতে পারবেন। তাই আজ থেকেই নিয়মিত বিটরুট সবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

বিটরুট এর দাম কত

অনেকে রয়েছেন যারা বিটরুট এর দাম সম্পর্কে জানতে চান। বিট রুট যেহেতু একটি মৌসুমী সবজি সেহেতু সেই মৌসুমে এই সবজির ফলন বেশি থাকে এবং তার দাম মোটামুটি কম থাকে। কিন্তু বছরের অন্যান্য সময়ে এই সবজিদের দাম অনেক বেশি বেড়ে যায়। 

শীতকালীন সবজি হওয়াই শীতকালে বিট রুট এর দাম সাধারণত ৯০ থেকে ১০০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়। কিন্তু বছরের অন্যান্য সময়ে এই সবজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হয়ে থাকে। তবে সময় এবং স্থানভেদে এই সবজির দাম উঠানামা করে। তাই এই সবজি কেনার পূর্বে বাজারে গিয়ে আগে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে নেবেন তারপরে কিনবেন।

বিটরুট খাওয়ার নিয়ম

আপনি কি বিটরুট খাওয়ার নিয়ম জানেন? বিট রোড কিভাবে খেতে হয় কাঁচা নাকি রান্না করে সেই বিষয় নিয়ে কি কনফিউজ? যদি এমনটা হয় তাহলে আমরা আপনার সেই কনফিউশন দূর করব। কারন আমরা আমাদের আর্টিকেল দ্বারা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব বিটুরুর খাওয়ার নিয়ম কি। 

বিটরুট এমন এক ধরনের সবজি যা কাঁচা অবস্থায় এবং রান্না করে উভয় পদ্ধতিতে খাওয়া যায়। আপনারা চাইলে কাঁচা অবস্থায় এই সবজির জুস তৈরি করে খেতে পারেন অথবা এই সবজি দিয়ে সালাদ তৈরি করেও খেতে পারবেন। এছাড়াও এই সবজি রান্না করেও খাওয়া যায়। 

অন্যান্য সবজির সাথে যোগ করে এই সবজি রান্না করতে পারবেন। কিন্তু এই সবজির গুণাগুণ এর ক্ষেত্রে দেখা যায় যে রান্না করার চেয়ে কাঁচা অবস্থায় খেলে এর উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়।

বিটের উপকারিতা ও অপকারিতা

বিটরুট কম পরিচিতি এবং অধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি। এই সবজি এখনো সকলের কাছে পরিচিতি না পেলেও এর পুষ্টিগুণের কারণে আস্তে আস্তে এর পরিচিতি সকলের কাছে দিন দিন বেড়েই চলেছে। 

এই সবজি দেখতেও অনেকটা সুন্দর হয়ে থাকে। বিটরুট এর বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে বেটা ভালগারিশ। এই সবজিটা দেখতে কিছুটা পেঁয়াজের মতো হয়ে থাকে । আমরা এখন আপনাদের সামনে বিটের উপকারিতা ও অপকারিতা তুলে ধরার চেষ্টা করব।

উপকারিতাঃ

চোখের সমস্যা সমাধান করেঃ বিটরুট সবজিতে উপস্থিত রয়েছে ফাইটোকেমিক্যাল যা আমাদের চোখের চারপাশের টিস্যু গুলোর শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে তাছাড়াও রয়েছে লুটেইন এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের চোখের সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ বিটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। আর যখন বিটরুট খাওয়ার কারণে সেই ফাইবার আমাদের শরীরে প্রবেশ করে তখন আমাদের শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমায়ঃ বিটরুটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমে যায়।

কোলেস্ট্রল সাহায্য করেঃ অনেকেই রয়েছেন রক্তে কোলেস্ট্রল এর সমস্যায় পড়ে থাকেন। এই সমস্যা সমাধান করতে বিট রুটের জুস অনেক বেশি উপকারী।নিয়মিত বিটরুটের জুস খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যায়।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে বিটরুট একটি অন্যতম সবজি। আপনি যদি আপনার নিয়মিত খাবারের তালিকায় বিটরুট সবজি রাখেন তাহলে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।

উচ্চ রক্তচাপ কমায়ঃ আপনি কি উচ্চ রক্তচাপ এর সমস্যায় ভুগছেন? যদি এমনটা হয় তাহলে নিঃসন্দেহে বিট রুটকে বেছে নিতে পারেন। বিটরুট এমন এক ধরনের সবজি যা একজন মানুষের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে।

মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করেঃ বিটরুট খাওয়ার কারণে আমাদের মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল অনেক বেশি বৃদ্ধি পায় যার ফলে আমাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা অনেকটাই বেড়ে যাই ।

যকৃত ভালো রাখতে সাহায্য করেঃ বিটরুটে রয়েছে বিটেইন যা আমাদের যকৃততে কোনো রকম চর্বি জমতে দেয় না। যার ফলে আমাদের যকৃত ভালো থাকে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ বিটরুটে উপস্থিত ভিটামিন সি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নিয়মিত বিটরুটের জুস খেতে পারেন।

ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করেঃ বিটরুটে রয়েছে বিভিন্ন রকম পুষ্টি উপাদান যে সকল পুষ্টি উপাদানের কারণে আমাদের তো অনেক বেশি সুন্দর এবং নমনীয় থাকে। আমাদের ত্বকে বয়সের ছাপ কমে যায়।

অপকারিতাঃ

ডায়াবেটিস বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেঃ যে সকল ব্যক্তির ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের রুট খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে। যার ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই বিটরুট খাওয়ার পূর্বে ডায়াবেটিস রোগীদের একটু ভাবনা চিন্তা করে খাওয়া উচিত।

এলার্জি বৃদ্ধি করতে পারেঃ কিছু কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে দেখা যায় যে বিট রুট খাওয়ার কারণে এলার্জির মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ত্বকে বিভিন্ন রকম ফুসকুড়ি অথবা জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে। যদি এমনটা হয় তাহলে অবশ্যই এই ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

কিডনির সমস্যা হতে পারেঃ যে সকল ব্যক্তিদের কিডনিতে পাথর রয়েছে তারা অবশ্যই বিটরুট খাওয়ার পূর্বে ভাবনা চিন্তা করে খাবেন। কারণ এটি পাথরের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

নিম্ন রক্তচাপের সমস্যাঃ যেহেতু বিটরুট খাওয়ার কারণে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে সেহেতু বলা যায় যে এই ফল খাওয়ার কারণে রক্তচাপের পরিমাণ আরো বেশি কমে যায়। তাই যে সকল ব্যক্তি নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তারা এই ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

অবশ্যই প্রতিটি জিনিসের যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমন রয়েছে অপকারিতা। যখন কোন জিনিস পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবেন তখন সেটির উপকারিতা আপনার জন্য কাজে দেবে। আর যখন সেই উপাদান মাত্রাতিরিক্ত খাবেন তখন তার উপকারিতার বদলে অপকারিতা দেখা দেবে। তাই যে কোন জিনিস খান পর্যাপ্ত পরিমাণে খান।

বিট রুট পাউডার এর উপকারিতা

বিট রুট এর উপকারিতা এবং বিটরুট পাউডারের উপকারিতা কমবেশি একই রকম। আপনা বিট রুট সবজি খাওয়ার কারণে যে সকল উপকারিতা গুলো পাবেন সেই সকল উপকারিতা পাবেন বিট রুট পাউডার এর থেকে। আমরা উপরে বিটরুট এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এখন আপনাদের সামনে আলোচনা করব বিট রুট পাউডার এর উপকারিতা।

বিট রুট পাউডারের উপকারিতা জানার পূর্বে আমাদের জানা উচিত বিট রুট পাউডার কিভাবে তৈরি করা হয়। বিট রুটকে কিউব করে কেটে তা রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে গুড়ো করে পিষে তৈরি করা হয় বিটরুট এর পাউডার। বিটরুট এর পাউডার এর জুস তাজা বিট রুট এর চেয়ে অনেক বেশি ঘনত্ব ও সুস্বাদু হয়ে থাকে।

উপকারিতাঃ
  • বিট রুট পাউডার প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য বহন করে। যার ফলে যদি কোন ব্যক্তি নিয়মিত বিট রুট এর জুস খায় তাহলে শরীরের বিভিন্ন রকম রোগের ঝুঁকি কমে যাবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
  • বিটরুটের পাউডার ক্যান্সার রোধ করতেও অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই আপনি নিয়মিত কিছুটা পরিমাণ বিট রুট এর পাউডার জুস করে অথবা অন্য কোন কিছু দিয়ে খেতে পারেন। এতে করে আপনার ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটা কমে যাবে।
  • বিট রুট এর পাউডারে রয়েছে নাইট্রেড। যার ফলে একজন ব্যক্তির উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রক্তনালীর শিথিল থাকে।
  • বিটরুটের পাউডারে উপস্থিত ভিটামিন সি আমাদের শরীরের এবং ত্বকের বিভিন্ন রকম সমস্যা সমাধান করে।শারীরিক ও ত্বকের সমস্যা দূর করতে নিয়মিত বিট ও রুটের পাউডার খেতে পারেন।
  • বিটরুটের পাউডার এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার।যা আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
  • বিটরুটের পাউডারে বিভিন্ন রকম খনিজ পদার্থ উপস্থিত থাকে। যার ফলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান হয়।

বাচ্চাদের বিটরুট খাওয়ার নিয়ম

যেকোনো কিছু বাচ্চাদের খাওয়ানোর পূর্বে অনেক বেশি ভাবনা-চিন্তা করে খাওয়াতে হয়। আমরা বাচ্চাদের কোন কিছু খাওয়ানোর পূর্বে আগে দেখি এটি বাচ্চার জন্য কতটা উপকারী আর কতটা অপকারী। তারপর বাচ্চাটিকে সেই খাবার খাওয়াই। 

তাই যদি বিটরুট খাওয়াতে চান প্রথমে জেনে নিন এটি আপনার বাচ্চার জন্য কতটা উপকারী। তারপরে জানুন বাচ্চাদের বিট রুট খাওয়ার নিয়ম। শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে বাচ্চাদের জন্য বিট রুট অনেক বেশি উপকারী একটি সবজি। 

কারণ বিটরুটে রয়েছে অনেকগুলো ভিটামিন আর খনিজ পদার্থ এছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম,লৌহ এবং জিংক। যা একজন শিশুর জন্য অনেক বেশি উপকারী। এই সকল উপাদানের কারণে একজন শিশুর বিভিন্ন রকম সমস্যা সমাধান হয়। এই সবজি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং রক্তস্বল্পতা দূর করে।

খাওয়ানোর নিয়মঃ আপনার বাচ্চার বয়স যদি এক বছর হয় তাহলেই আপনার বাচ্চাটিকে এই ফল খেতে দিবেন। এক বছরের পূর্বে বাচ্চাকে এই ফল খাওয়ানো উচিত নয়। এক বছরের পূর্বে বাচ্চাকে বিটরুট সবজি খাওয়ালে বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

বাচ্চার বয়স যদি ১ বছরের বেশি হয় তাহলে বাচ্চাকে প্রতিদিন দুই চামচ করে বিটরুট খাওয়াতে পারেন। বিটরুট খাওয়ানোর পর যদি শিশুর কোনরকম সমস্যা দেখা দেয় তাহলে বিটরুট খাওয়ানো বন্ধ করে দিতে হবে। 

আপনার শিশুকে বিটরুট খাওয়ানোর পাশাপাশি অন্য প্রয়োজনীয় খাবার ও দিতে হবে। নিশ্চয়ই আপনারা বুঝতে পেরেছেন আপনার শিশুকে কত বছর বয়সে বিট রুট খাওয়াবেন এবং কতটুকু খাওয়াবেন।

গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা

এমন অনেক খাবার রয়েছে যা গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকগণ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আবার কিছু কিছু খাবার না খাওয়ার কথা বলে থাকেন। অনেক গর্ভবতী মা রয়েছেন যাদের বিট রুট খাওয়ার সময় মনে প্রশ্ন জাগে তাদের জন্য বিট রুট খাওয়ার উপকারিতা আছে কি নেই। 

তাদের জানার সুবিধার্থে আমরা বলবো যে গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। বিট রুটে রয়েছে ফলিক অ্যাসিড যা গর্ভে থাকা শিশুর টিস্যু তৈরিতে এবং স্পাইনাল কর্ড গঠন করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এছাড়াও বিট রুট এর শরবত বানিয়ে খাওয়ার কারণে স্পিনা বিফিডা এর মত সমস্যা সমাধান হয়। 

বিটরুট খাওয়ার কারণে গর্ভবতী মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও কর্মশক্তি বাড়াতেও বিট রুট সবজির ভূমিকা অনেক বেশি। যার ফলে গর্ভবতী মায়ের সন্তান প্রসব করা অনেক সহজ হয়ে ওঠে।

শেষ কথাঃ বিটের উপকারিতা ও অপকারিতা

আশা করছি আপনারা বিটের উপকারিতা ও অপকারিতা আর্টিকেলটি পড়ে বিট রুট সম্পর্কে সকল ধরনের তথ্য জানতে পেরেছেন। এই সবজিটি আমাদের জন্য কতটা উপকারী এবং কার কার ক্ষেত্রে বিট রুট খাওয়া ঠিক হবে না তা বুঝতে পেরেছেন। 

বিট রুট সম্পর্কে আরো কিছু জানার থাকলে আপনারা আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। এই সবজিটি আমাদের কাছে খুব একটা পরিচিত না হলেও এর গুনাগুন অনেক বেশি। তাই নিয়মিত এই সবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এতে করে আপনার শরীরের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url