কুকুর কামড়ালে কি কি খাওয়া যাবে না জানুন ও সতর্ক হন

বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণবাইরে ঘোরাফেরা করার সময় আপনার অজান্তেই আপনাকে কি কুকুরে কামড় দিয়েছে। যদি এমনটা হয় তাহলে আপনাকে অবশ্যই কুকুর কামড়ালে কি কি খাওয়া যাবে না সেই বিষয়ে জানতে হবে। আর এই বিষয়ে কিভাবে জানবেন যদি চিন্তা করেন তাহলে সেই চিন্তা দূর করবো আমরা। কারণ আমরা আপনাদের জানানোর উদ্দেশ্যে কুকুর কামড়ালে কি কি লক্ষণ দেখা দেয় তা কুকুর কামড়ালে কি কি খাওয়া যাবে না আর্টিকেলের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
কুকুর কামড়ালে কি কি খাওয়া যাবে না
কুকুরের কামড়ানো সম্পর্কে সকল ধরনের তথ্য জানতে কুকুর কামড়ালে কি কি খাওয়া যাবেনা আর্টিকেলটি পড়ুন। আর্টিকেলের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়েছে যে সকল তথ্য জানলে উপকৃত হবেন।

কুকুর কামড়ালে করণীয় কি

প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দেশের হাসপাতালে লক্ষ্য করা যায় যে কুকুরের কামড় খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। কুকুর এমন একটা প্রাণী যা আমরা প্রতিদিনই তার আশেপাশে দিয়ে চলাফেরা করে থাকি। আর যদি এই কুকুর ক্ষেপে যায় তাহলে হঠাৎ করেই মানুষের উপর আক্রমণ করে বসে। 
এর ফলে মানুষ আতঙ্কিত এবং দিশেহারা হয়ে যায়। আর এই কুকুরের কামড় থেকে দেখা দেয় জলাতঙ্ক, ধনুষ্টংকার এবং ব্যাকটেরিয়া জনিত বিভিন্ন রকম রোগ। কুকুর কামড়ানোর পর সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে এ ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে। 

তাই অবশ্যই কোন ব্যক্তিকে যদি কুকুরে কামড় দেয় তাহলে সঠিক সময়ের চিকিৎসা নিতে হবে। কিছু করনীয় আছে যে সকল করণীয় আপনাকে প্রাথমিক অবস্থাতেই গ্রহণ করতে হবে। তাহলে ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাই। কুকুর কামড়ালে করণীয় কি সেই সম্পর্কে জেনে নিন।

করনীয়ঃ কুকুর কামড়ালে আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত থাকুন। যে স্থানে কামড় দিয়েছে সেই স্থানের রক্তপাত এবং ক্ষত কতটুকু সেটি ভালোভাবে লক্ষ্য করুন। কুকুর কামড়ালে যদি রক্তপাত হয় তাহলে কামড়ানোর স্থানটি হাত দিয়ে চেপে ধরুন। যেন দ্রুত রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়। ক্ষতস্থানটি দ্রুত পানি দিয়ে পরিষ্কার করার চেষ্টা করুন। 

কমপক্ষে ১০ মিনিট ক্ষতস্থান টি পানি দিয়ে ধৌত করুন। এতে করে সেই স্থানে যদি কোন রকম ব্যাকটেরিয়া থাকে তাহলে তা পানির সাহায্যে ধুয়ে যাবে। যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ চিকিৎসা কেন্দ্রে যাওয়ার চেষ্টা করুন। চিকিৎসা কেন্দ্রে যাওয়ার পূর্বে বাসায় যদি কোন এন্টিবায়োটিক মলম থাকে তাহলে ক্ষতস্থানে সেই অ্যান্টিবায়োটিক মলম লাগিয়ে গজ কাপড় দিয়ে ব্যান্ডেজ করুন। 

চিকিৎসা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় ক্ষতস্থানে যেন কোনরকম ধুলাবালি অথবা ময়লা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখুন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করুন এবং জলাতঙ্কের টিকা গ্রহণ করুন।

কুকুর কামড়ালে কি হয়

আমাদেরকে যদি কুকুরে কামড় দেয় তাহলে আমরা অনেক সময় আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। মনে মনে ভাবি যেহেতু কুকুরে কামড় দিয়েছে সেহেতু নিশ্চয়ই আমার জলাতঙ্ক রোগ হবে। এটা কিন্তু একদিক দিয়ে আপনার সঠিক ধারণা। 

কারণ কুকুর কামড় কিংবা আঁচড় দিলে জলাতঙ্ক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি হয়ে থাকে। কুকুর কামড়ের ৯৯% জলাতঙ্ক রোগ দেখা দিয়ে থাকে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কুকুর কামড়ালে কি শুধুমাত্র জলাতঙ্ক রোগ হয়। যদি এমনটা প্রশ্ন হয় তাহলে আমরা বলবো যে না কুকুর কামড়ালে শুধুমাত্র জলাতঙ্ক হয় তা কিন্তু নয়। 
জলাতঙ্ক ছাড়াও একজন ব্যক্তির কুকুর কামড়ানোর কারণে ধনুষ্টংকার রোগ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও দেখা দিতে পারে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। কুকুরের কামড়ের কারণে কোন ধরনের রোগ হবে তা নির্ভর করে কুকুরের কামড়ের ফলে ক্ষতের দ্বারা। 

কুকুরের কামড়ের অথবা আচড়ানোর কারণে যদি খুব একটা ক্ষতি না হয় হালকা ক্ষতি হয় তাহলে সেখান থেকে জলাতঙ্ক হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। কিন্তু যদি কুকুরের কামড় এবং আঁচড় থেকে ক্ষতের পরিমাণ বেশি হয় তাহলে সেখান থেকে জলাতঙ্ক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

কুকুর কামড়ালে কি বাচ্চা হয়

আমাদের সমাজে একটি কথা প্রচলিত আছে কুকুর কামড়ালে পেটে কুকুরের বাচ্চা আসে। এটি একটি হাস্যকর বিষয় হলেও এই প্রচলিত কথা অনেক আগ থেকেই আমাদের মাঝে চলে আসছে। তাই অনেক সময় কুকুর কামড়ালে অনেকে চিন্তিত হয়ে পড়েন তার পেটে কুকুরের বাচ্চা যদি চলে আসে সেই বিষয় নিয়ে। 

যেহেতু এটি একটি প্রচলিত কথা আর অনেক আগে থেকে চলে আসছে তাই অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে কুকুর কামড়ালে কি বাচ্চা হয়? আপনাদের এই প্রশ্নের জবাবে আমরা বলব এটি একেবারেই ভুল ধারণা। একটি ভুল ধারণা নিয়ে আমাদের সমাজে প্রচলিত কথা চলে আসছে। 

কুকুর কামড়ালে মানুষের পেটে কুকুরের বাচ্চা হওয়ার কোনরকম সম্ভাবনা নেই। কিংবা এর কোন প্রমাণ ও নেই। যেহেতু প্রচলিতভাবে চলে আসছে এই কথা তাই এখনো এই কথা অনেকেই প্রচলন করে রেখেছে। 

বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের কুকুরের কাছ থেকে দূরে রাখার জন্য এ ধরনের কথা বলা হয়ে থাকে। এটি এক ধরনের ভ্রান্ত বিশ্বাস। তাই এই কথা কখনোই বিশ্বাস করা ঠিক নয়। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কুকুর কামড়ালে কখনোই বাচ্চা হয় না।

কুকুর কামড়ালে কি কি খাওয়া যাবে না

একজন মানুষকে যদি পুকুরে কামড় দেয় তাহলে তাকে একেবারে যে কোন একটি নির্দিষ্ট খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে তা কিন্তু নয়। কুকুরের কামড়ের কারণে নির্দিষ্ট কোন খাবার নেই যা আপনাকে খাওয়া বন্ধ করতে হবে। 

কিন্তু কুকুরের কামড়ের ক্ষতস্থানটি যদি গভীর হয় তাহলে তা থেকে সংক্রমণ রোড করার জন্য কিছু কিছু খাবার এড়িয়ে চলা ভালো। এতে করে আপনার সংক্রমণিত জায়গাটি দ্রুত ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • কুকুরে কামড়ানোর পরে আপনাকে কাঁচা মধু খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
  • যে সকল খাবার প্যাকেট জাত করা রয়েছে সেই সকল খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সেই সকল খাবার সংক্রমনের জায়গা সহ শারীরিক ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
  • পাস্তুরাইজ দুধ এবং নরম পনির লিস্টেরিয়া খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এ সকল আন পাস্তুরাইজড ডেইরি খাবারগুলোর ভেতর বিভিন্ন রকমের ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা আপনার সংক্রমণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারেন।
  • অপরিশোধিত জল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অপরিশোধিত জলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পরজীবী ও ব্যাকটেরিয়া উপস্থিত থাকে। যা আপনার ক্ষতস্থানটির জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
  • যেকোনো ধরনের ফল না ধুয়ে খাবেন না। ফলে উপস্থিত থাকা বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া অথবা ভাইরাস আপনার ক্ষতস্থানের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই যেকোনো ফল খাওয়ার পূর্বে ধুয়ে খেতে পারেন।
  • কাঁচা মাছ অথবা মাংস না খাওয়ার চেষ্টা করুন। কাঁচা মাছ অথবা মাংস খেলে আপনার ক্ষতস্থানে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।

কুকুর কামড়ালে কতদিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়

কুকুর কামড়ানোর পরে অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েন যে কুকুর কামড়ানোর কতদিন পর টিকা দিতে হবে কি টিকা দিতে হবে সেই বিষয় নিয়ে। কারণ আমাদের মাঝে অনেকেরই এই তথ্য অজানা। আমরা জানি কুকুর কামড়ালে টিকা দিতে হয়। 

কিন্তু কতদিন পর টিকা দিতে হয় আর কি কি টিকা দিতে হয় সেই সম্পর্কে অনেকেই খুব বেশি জানি না। তাই অনেক সময় দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যাই। আপনাদের এই দ্বিধাদ্বন্দ দূর করার দায়িত্ব আমাদের। কারণ আমরা এখন আপনাদের সামনে তুলে ধরব কুকুর কামড়ালে কতদিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়।

কুকুর কামড়ালে কতদিন পর টিকা দিবেন তা নির্ভর করছে কিছু বিষয়ের উপরে। তাই প্রথমে সেই সকল বিষয়গুলো নিশ্চিত হন। যেমনঃ
  1. যে কুকুরটি আপনাকে কামড় দিয়েছে সেই কুকুরটির টিকা দেওয়া রয়েছে কিনা। যদি সেই কুকুরটিকে টিকা দেওয়া থাকে তাহলে আপনাকে টিকা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
  2. কুকুরের কামড়ের অথবা আঁচড়ের কারণে আপনার শরীরের ক্ষতের গভীরতা কেমন। যদি ছোটখাটো শুধুমাত্র দাগের মতো আচর হয়ে থাকে তাহলে প্রয়োজন নাও হতে পারে। কিন্তু যদি কামড় অথবা আঁচড় হয় গভীর তাহলে অবশ্যই টিকা দিতে হবে।
  3. আপনি যদি পূর্বেই জলাতঙ্কের টিকা দিয়ে থাকেন তাহলে নতুনভাবে জলাতঙ্কের টিকা দেওয়ার প্রয়োজন নাও হতে পারে।
কতদিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়ঃ একটি কুকুর কামড়ানোর পরে যত দ্রুত সম্ভব টিকা গ্রহণ করতে হবে। যদি কামড়ানোর ৭২ ঘন্টার ভেতর টিকা দেওয়া হয় তাহলে সেটি সবথেকে বেশি কার্যকরী। যদি কোন কারনে ৭২ ঘন্টা পার হয়ে যায় তারপরেও আপনাকে টিকা গ্রহণ করতে হবে। কারণ কুকুর কামড়ানোর পড়ে টিকা দেওয়া আবশ্যক।

কুকুর কামড়ালে কতদিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয়

কুকুর কামড়ালে অথবা আঁচড় দিলে সব থেকে ভয়ের বিষয় হচ্ছে জলাতঙ্ক হওয়া। কারণ জলাতঙ্ক এমন এক ধরনের রোগ যার কারণে মানুষ মৃত্যুবরণ করতে পারে। তাই কুকুর আঁচড় দিলে অথবা কামড়ালে জলাতঙ্ক হওয়ার কোন লক্ষণ দেখা দিলেই জলাতঙ্কের টিকা গ্রহণ করতে হবে। 

কুকুর আঁচড় দিলে অথবা কামড় দিলেই যে রোগী জলাতঙ্কে আক্রান্ত হবে তা কিন্তু নয়। যেই কুকুরটি আঁচড় দিবে অথবা কামড় দিবে সেই রোগীটি যদি জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলেই জলাতঙ্ক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

কিন্তু যদি কুকুর কামড় অথবা আঁচড় দিলে ক্ষত গভীর হয় অথবা রক্তপাত বেশি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং জলাতঙ্কের টিকা গ্রহণ করতে হবে। জলাতঙ্কে আক্রান্ত কুকুর যদি কোন ব্যক্তিকে কামড় দেয় তাহলে কামড়ানোর পরে ৯ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে জলাতঙ্কের বিভিন্ন রকম লক্ষণ প্রকাশ পায়।

জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ কি কি

একজন ব্যক্তি যখন জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয় তখন তার মধ্যে কিছু কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়।প্রথম দিকে জলাতঙ্ক রোগের কোনরকম লক্ষণ প্রকাশ না পেলেও আস্তে আস্তে সময় পার হলে জলাতঙ্ক রোগের বিভিন্ন রকম লক্ষণ প্রকাশ পায়। আমরা আপনাদের সামনে জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ কি কে তা তুলে ধরার চেষ্টা করব।
  • জলাতঙ্ক রোগের প্রথম লক্ষণের মধ্যে হচ্ছে হালকা জ্বর অথবা তীব্র জ্বর দেখা দিতে পারে।
  • আক্রান্ত ব্যক্তির খোদা মন্দা দেখা দেবে।
  • আক্রান্ত স্থানটিতে চিনচিন অথবা ঝিন ঝিন এর মত অনুভব হতে পারে।
  • রোগীর ভেতর ও নিয়ন্ত্রিত উত্তেজনা দেখা দিতে পারে।
  • আক্রান্ত ব্যক্তির লালা রসের ক্ষরণ বৃদ্ধি পাবে।
  • আক্রান্ত ব্যক্তি কোন কিছু খাওয়ার সময় ঢোক গিলবে তখন তার গলায় তীব্র ব্যথা দেখা দিতে পারে।
  • বিশেষ করে পানি পান করার সময় কণ্ঠনালীতে তীব্র ব্যথা দেখা দিতে পারে।
  • শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নাড়ানোর অক্ষমতা দেখা দেবে।
  • রোগীর চেতনা শূন্য তাও দেখা দিতে পারে।

জলাতঙ্ক রোগের প্রতিকার

জলাতঙ্ক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে টিকা গ্রহণ করা। কোন ব্যক্তি যদি জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয় তাহলে তার প্রথম কাজ হবে জলাতঙ্কের টিকা গ্রহণ করা। বাজারে জলাতঙ্ক রোগের বিভিন্ন রকম টিকা পাওয়া যায়। 

কিন্তু সব থেকে ভালো টিকা হচ্ছে হিউম্যান ডিপ্লয়েড সেল ভ্যাকসি। আপনারা জলতঙ্কের প্রতিরোধ হিসেবে নিঃসন্দেহে এই টিকা গ্রহণ করতে পারেন। এছাড়াও বাজারে ডাক ইমব্রিও সেল ভ্যাকসিন,নার্ভ টিস্যু ভ্যাকসিন এবং পিউরিফাইড চিক ইমব্রিও সেল ভ্যাকসিন টিকা বাজারে পাওয়া যায়। 

জলাতঙ্কের হাত থেকে রক্ষা পেতে উপরের উল্লেখিত ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু অবশ্যই যেকোনো ভ্যাকসিন ব্যবহার করার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন এবং সেই অনুযায়ী টিকা গ্রহণ করবেন।

কুকুর কামড়ালে কয়টি টিকা দিতে হয়

কুকুর কামড়ালে টিকা দিতে হয় সেই কথা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু অনেকেই জানিনা কতদিন পর কয়টি টিকা দিতে হয়। তাই আজকে আমরা আপনাদের সামনে কুকুর কামড়ালে কয়টি টিকা দিতে হয় সেই সম্পর্কে আলোচনা কর। আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব কুকুর কামড়ালে আপনারা কয়টি টিকা গ্রহণ করবেন।
  1. যে সকল ব্যাকেতি পূর্বে কোন টিকা গ্রহণ করেনি তাদেরকে মোট পাঁচটি টিকা গ্রহণ করতে হবে। ১ দিন, ৩ দিন, ৭ দিন, ১৪ দিন এবং ২৮ দিনে মোট পাঁচটি টিকা গ্রহণ করতে হবে।
  2. তবে কুকুরটি যদি গৃহপালতেও কুকুর হয় তাহলে দশম দিনে রোগী সুস্থ হয়ে যায় ফলে ১৪ ও ২৮ দিনের টকা দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
  3. কুকুরে কামড়ানোর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই টিকা নেওয়া উচিত।
  4. জলাতঙ্কের টিকা ২ বাহুতে দুইটি টিকা নিতে হয়।

পরামর্শমূলক কথা

আমরা এতক্ষণ আপনাদের সামনে কুকুর কামড়ালে কি কি খাওয়া যাবেনা আর্টিকেলের মাধ্যমে কুকুর কামড়ালে কি করবেন কোন টিকা গ্রহন করবেন জলাতঙ্কের লক্ষণ সেই সকল বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। 

আশা করছি আপনারা আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্যটি খুঁজে পেয়েছেন।কুকুরের কামড়ানোর পরে যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। আর সেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url