পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

১০ হাজার টাকায় ৩৫ টি ব্যবসার আইডিয়া জানুনআপনি কি লেখাপড়া শেষ করে কোন চাকরি পাচ্ছেন না তাই ব্যবসা করতে চাইছেন। যদি এমনটা হয় তাহলে আমাদের লেখা পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। কারন আমরা পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সামনে বিভিন্ন রকম পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া এবং পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ের পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া
আমরা আশা করছি যে আপনি পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেলটি পড়ে আপনার পছন্দের একটি ব্যবসা খুঁজে পাবেন। তাই এখন দেরি না করে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ুন।

ভূমিকা

এখনকার সময়ে চাকরি পাওয়া অনেক বেশি কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া শেষ করে চাকরি না পেয়ে বাসায় বেকার বসে জীবনযাপন কাটাচ্ছে। লেখাপড়া শেষ করে যদি চাকরি না পান তাহলে শুধু শুধু বাসায় বসে বেকার জীবন যাপন না করে করতে পারেন একটি ছোটখাটো ব্যবসা। সেটি খুচরা ব্যবসা হোক অথবা পাইকারি ব্যবসা। 

স্বল্প মূলধনের ব্যবসা হোক অথবা অধিক মূলধনের ব্যবসা। প্রথম অবস্থাতে আপনার কোন ব্যবসা এবং কত পুঁজির মধ্যে ব্যবসা করা উচিত হবে তা আমরা পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনার চেষ্টা করেছি। আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে পারবেন আপনার জন্য এখন কোন ব্যবসাটি করা লাভজনক হবে। 

ব্যবসা শুরু করলেই মানুষ লাভবান হবে তা কিন্তু নয়। লাভবান হতে হলে প্রয়োজন হবে সঠিক পরিকল্পনা। আর সঠিক পরিকল্পনার জন্য প্রয়োজন ব্যবসা সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান। যা আমরা আমাদের এই আর্টিকেল দ্বারা আপনাদের বোঝানোর চেষ্টা করব। তো চলুন ব্যবসা সম্পর্কে কিছু জানা এবং অজানা তথ্য জেনে আসি।

পাইকারি ব্যবসা কাকে বলে

পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কে বুঝতে হলে প্রথমে আমাদেরকে জানতে হবে পাইকারি ব্যবসা কাকে বলে? আমরা হয়তো অনেকেই জানি পাইকারি ব্যবসা কাকে বলে। পাইকারি ব্যবসায়ী ব্যক্তিকে মধ্যস্থ ব্যবসায়ী ও বলা যেতে পারে। কারণ পাইকারি ব্যবসায়ী হচ্ছে উৎপাদনকারী এবং খুচরা ব্যবসায়ী এদের দুজনের মধ্যে সংযোগকারী। 

তাই পাইকারি ব্যবসায়ীদেরকে মধ্যস্থ ব্যবসায়ী বলা হয়ে যে থাকে। যেকোনো উৎপাদিত পণ্য উৎপাদকের কাছ থেকে বেশি পরিমাণে ক্রয় করে যখন তা খুচরা ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রয় করা হয় তখন তাকে পাইকারি ব্যবসা বলা হয়ে থাকে। এ ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী উৎপাদকের কাছ থেকে বেশি পরিমাণে পণ্যদ্রব্য ক্রয় করে। 

আর সেই ক্রয় কৃত পণ্য আবার খুচরা ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রয় করে। এই ব্যবসায় এর ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীর ক্রেতাদের সাথে কোন রকম যোগাযোগ হয় না। এদের যোগাযোগ শুধুমাত্র হয় খুচরা ব্যবসায়ীদের সাথে। তো নিশ্চয়ই আপনারা এখন বুঝতে পেরেছেন পাইকারি ব্যবসা কাকে বলে।

পাইকারি ব্যবসার বৈশিষ্ট্য

আমরা এতক্ষণ আপনাদের সামনে পাইকারি ব্যবসা কাকে বলে সেই সম্পর্কে আলোচনা করলাম। পাইকারি ব্যবসা কাকে বলে জানার পরে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে পাইকারি ব্যবসার বৈশিষ্ট্যসমূহ কি। 

কারণ আপনি যদি মনে মনে ভেবে থাকেন পাইকারি ব্যবসা করবেন তাহলে সেই ব্যবসা থেকে লাভ করতে চাইলে পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কে সকল ধরনের জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তাই পাইকারি ব্যবসার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানুন।

অবস্থানঃ প্রথমে জেনে নিন পাইকারি ব্যবসার অবস্থান কোথায়। পাইকারি ব্যবসার অবস্থান শহরে এবং গ্রামাঞ্চলেও দেখা যায়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গ্রামাঞ্চলে খুব একটা পাইকারি ব্যবসা দেখা যায় না। পাইকারি ব্যবসা শহরে বেশি দেখা যায়।

মধ্যস্থ ব্যবসায়ীঃ যে সকল ব্যক্তি পাইকারি ব্যবসা করে থাকেন তাদেরকে মধ্যস্থ ব্যবসায়ী বলা হয়ে থাকে। এদেরকে মধ্যস্থ ব্যবসায়ী বলার প্রধান কারণ হচ্ছে যে পাইকারি ব্যবসায়ীদের সরাসরি ক্রেতাদের সাথে কোন রকম যোগাযোগ থাকে না। 

তারা বেশি পরিমাণে পণ্য উৎপাদকের অথবা আমদানিকারকের কাছ থেকে ক্রয় করে খুচরা বিক্রেতাদের নিকট বিক্রয় করে। যা একটি মধ্যস্থ পদ্ধতি। তাই এদেরকে মধ্যস্থ ব্যবসায়ী বলা হয়ে থাকে।

মালিকানাঃ পাইকারি ব্যবসায় সাধারণত একের অধিক ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। কারণ পাইকারি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে অধিক মূলধনের প্রয়োজন পড়ে। যেহেতু অধিক মূলধনের প্রয়োজন হয় সেহেতু এই ব্যবসায় একের অধিক ব্যক্তি অথবা কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে।

অর্থসংস্থানের উৎসঃ পাইকারি ব্যবসার একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি এক ধরনের অর্থসংস্থানের উৎস হিসাবে কাজ করে। একজন ব্যক্তি যখন উৎপাদনকারীকে পণ্য ক্রয়ের জন্য অগ্রিম টাকা প্রদান করে এবং খুচরা ব্যবসায়ীকে পণ্য সরবরাহ করার পর অর্থ উপার্জন করে যা সেই ব্যক্তির অর্থসংস্থানের সুযোগ করে তুলে। সুতরাং বলা যায় যে পাইকারি ব্যবসার একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অর্থসংস্থান।

স্তর বিভাজন ও মোড়কীকরণঃ পাইকারি ব্যবসার আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি পণ্যের স্তর বিভাজন করে এবং মোড়কীকরণ করে। একজন পাইকারি ব্যবসায়ী পণ্য সামগ্রী ক্রয় করে তার গুনাগুন এর উপর ভিত্তি করে স্তর বিভাজন করে এবং মোড়কীকরণ করার পর খুচরা বিক্রেতাদের নিকট বিক্রয় করে।

ঝুকি গ্রহণঃ পাইকারি ব্যবসায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ঝুঁকি গ্রহণ করা। বাজারের পণ্যের চাহিদা যখন তখন পরিবর্তন হয় এছাড়াও হঠাৎ করে মূল্যের পরিবর্তন হয়ে থাকে। এই সকল ঝুঁকির সবথেকে বেশি সম্মুখীন হন পাইকারি ব্যবসায়ী। তাই নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে যে পাইকারি ব্যবসায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ঝুঁকি গ্রহণ।

মূল্যের স্থিতিশীলতার রক্ষা করেঃ পাইকারি ব্যবসায়ীরা যেকোনো পণ্যের মূল্যের স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা যে কোন পণ্য একসঙ্গে মজুদ করে রাখে। আর সেই পণ্য ক্রেতাদের চাহিদার উপর ভিত্তি করে সঠিক দামে খুচরা ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রয় করে। সুতরাং বলা যায় যে এটিও পাইকারি ব্যবসায়ের একটি বৈশিষ্ট্য।

তথ্য সংগ্রহ করে এবং সরবরাহ করেঃ একজন পাইকারি ব্যবসায়ী ক্রেতাদের কি ধরনের কোন পছন্দ সেই সম্বন্ধে তথ্য উৎপাদকের নিকট পৌঁছে দেয় এবং তার পাশাপাশি বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিয়ে থাকে। এছাড়াও নতুন নতুন পণ্যের বিভিন্ন রকম তথ্য ক্রেতাদের নিকট সরবরাহ করে। যা আর সেটি হচ্ছে মধ্যস্থ ব্যবসায়ীদের একটি বৈশিষ্ট্য।

পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

আপনারা অনেকেই রয়েছেন যারা পাইকারি ব্যবসা আরম্ভ করার চিন্তাভাবনা করছেন। কিন্তু কোন ধরনের পাইকারি ব্যবসা করবেন তা নিয়ে পড়েছেন চিন্তায়। আমাদের মাঝে অনেকেই ব্যবসা সম্পর্কে খুব বেশি ধারণা নেই। যদি আপনাদের পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা না থাকে তাহলে চিন্তিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। 

কারণ আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য বিস্তারিত ভাবে আর্টিকেলে পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমরা আশা করছি যে আপনারা যদি মন দিয়ে নিচের অংশ পড়েন তাহলে পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাবেন। তাহলে এখন জেনে নিন পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া।

ইলেকট্রনিক পণ্যের পাইকারি ব্যবসাঃ বাংলাদেশে ইলেকট্রিক পণ্যের একটি বিশাল বাজার রয়েছে। ইলেকট্রনিক পণ্য এমন এক ধরনের পণ্য যা কখনোই পচে যাওয়ার কিংবা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তাই এই ব্যবসার ক্ষেত্রে পণ্য নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না। 

কিন্তু এ ব্যবসা শুরু করার পূর্বে ইলেকট্রনিক সম্পর্কে বেশিক কিছু ধারনা থাকা প্রয়োজন। এ ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ভালো মানের পণ্য সরবরাহ করা। এক্ষেত্রে একটু বিশেষ নজর রাখতে হবে।

টি-শার্টের পাইকারি ব্যবসাঃ আপনি যদি পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে টি-শার্টের পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। টি-শার্টের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমাদের দেশে কাপড় শিল্পের একটি বিশেষ মার্কেট রয়েছে। তাই আপনি যদি টি-শার্টের ব্যবসা শুরু করেন তাহলে খুব একটা কষ্ট করে পণ্য খুঁজতে হবে না। এই ব্যবসা একটু কৌশল করে করতে পারলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

কাঁচামালের পাইকারি ব্যবসাঃ কাঁচামালের পাইকারি ব্যবসা হতে পারে আপনার পাইকারি ব্যবসা করার একটি অন্যতম আইডিয়া। কারণ কখনোই কাঁচামালের চাহিদা হবে না। প্রতিদিন কাঁচামালের প্রয়োজন পড়ে। তাই আপনি প্রতিদিন সরাসরি বিভিন্ন কৃষকের কাছ থেকে ভালো মানের কাঁচামাল সরবরাহ করে বিক্রি করার মাধ্যমে একটি পাইকারি ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন।

কাপড়ের পাইকারি ব্যবসাঃ কাপড়ের পাইকারি ব্যবসা পাইকারি ব্যবসার খুব ভালো আইডিয়া। কাপড়ের ব্যবসা সর্বদাই বাংলাদেশের এক ধরনের সাফল্য কর ব্যবসা। তাই আপনি নিঃসন্দেহে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কাপড়ের ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনি নরসিংদী অথবা নবাবগঞ্জের মতো জেলা থেকে কাপড় কিনে নিয়ে এসে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কারণ এইসব জায়গাতে কম দামে ভালো মানের কাপড় পাওয়া যাই।

স্টেশনারি পণ্যের পাইকারি ব্যবসাঃ স্টেশনারি পণ্যের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই এটির বাজারও বাড়ছে। তাই এটিও হতে পারে আপনার জন্য পাইকারি ব্যবসার একটি দারুণ আইডিয়া। বাসা বাড়ি হোক অথবা অফিস কিংবা স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সকলের কাছেই এই পণ্যের চাহিদা। তাই এই ব্যবসা শুরু করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি।

মুদি দোকানের পাইকারি ব্যবসাঃ মানুষের একটি নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান হচ্ছে মুদি দোকান। প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় প্রতিটি মানুষের মুদি দোকানে কিছু না হয় কিছু ক্রয় করতেই হয়। চাল ডাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের পণ্য মুদি দোকান থেকে ক্রয় করার প্রয়োজন হয়। যেহেতু এটি মানুষের জীবনের নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় সেহেতু এই ব্যবসা একটি ভালো আইডিয়া হতে পারে আপনার জন্য।

ব্যাগের পাইকারি ব্যবসাঃ ব্যাগের পাইকারি ব্যবসা ও ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে একটি দারুন আইডিয়া। সরাসরি নির্মাতাদের কাছ থেকে ব্যাগ ক্রয় করে এলাকার দোকানে সেই সকল ব্যাগ বিক্রয় করে লাভবান হতে পারে। কিন্তু এই ব্যবসার ক্ষেত্রে মূলধনের পরিমাণ একটু বেশি প্রয়োজন হবে। মূলধন বেশি প্রয়োজন হলেও এই ব্যবসা থেকে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে।

কসমেটিক পণ্যের পাইকারি ব্যবসাঃ রূপচর্চা বিষয়ক পণ্যের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সময় যত বাড়ছে এ সকল পণ্যের চাহিদাও বাড়ছে। এ সকল পণ্যের বাজার ও দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই এটিও হতে পারে আপনার ব্যবসা শুরু করার একটি চমৎকার আইডিয়া।

ধানের পাইকারি ব্যবসাঃ ধানের পাইকারি ব্যবসা এক ধরনের লাভবান পাইকারি ব্যবসা। এই ব্যবসায়ী লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। তাই আপনি যদি পাইকারি ব্যবসা শুরু করার চিন্তাভাবনা করেন তাহলে ধানের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে তা স্টকে রেখে দিয়ে পরে বিক্রি করে খুব সহজেই লাভবান হতে পারবেন।

মাছের পাইকারি ব্যবসাঃ আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। ভাতের সাথে এক টুকরো মাছ হলেই আমাদের আর অন্য কোন তরকারির প্রয়োজন পড়ে না। তাই আমাদের দেশে মাছের ও চাহিদা রয়েছে অনেক বেশি। তাই আপনি মাছের পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কিন্তু এই ব্যবসার ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে লোকসান হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। যদি এই ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে প্রথমে একটু ভাবনা চিন্তা করে শুরু করতে হবে।

বিস্কুট পাউরুটির পাইকারি ব্যবসাঃ পাইকারি ব্যবসার আরেকটি দারুন আইডিয়া হচ্ছে বিস্কুট পাউরুটির পাইকারির ব্যবসা। এই ব্যবসা শুরু করতে খুব বেশি মূলধনের প্রয়োজন হয় ন। স্বল্প মূলধন নিয়ে খুব সহজেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এই ব্যবসার ক্ষেত্রে খুব একটা লোকসান হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে না। বিভিন্ন ফ্যাক্টরি থেকে বিস্কুট এবং পাউরুটি সংগ্রহ করে আপনারা খুচরা ভাবে দোকানে বিক্রয় করতে পারেন।

কলার পাইকারি ব্যবসাঃ কলার পাইকারি ব্যবসা করেও হতে পারেন আপনি স্বল্পমূল্যে অধিক লাভবান। কৃষকের কাছে থেকে সরাসরি পাকা কলা ক্রয় করে তা খুচরা ভাবে বিক্রয় করতে পারেন।এ ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্র আপনাকে অধিক পরিমাণের মূলধনের প্রয়োজন পড়বে না। 

তাই আপনি নিঃসন্দেহে এই ব্যবসাও শুরু করতে পারেন। কিন্তু এই ব্যবসার ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে লোকসান হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। এই ব্যবসা শুরু করতে চাইলে একটু ভাবনা চিন্তা করে শুরু করবেন।

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা

আমরা উপরে আপনাদের সামনে পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনারা বুঝতে পেরেছেন আপনার জন্য কোন পাইকারি ব্যবসা ভালো। এছাড়াও কিছু পাইকারি ব্যবসা রয়েছে যে সকল পাইকারি ব্যবসা অল্প পুঁজিতে করা সম্ভব। সে সকল ব্যবসা সম্পর্কে আমরা এখন আপনাদের সামনে সংক্ষেপে আলোচনা করব।
  • অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা হিসাবে আপনি বেছে নিতে পারেন হকারের ব্যবসা। এই ব্যবসা করতে খুব বেশি মুনাফার প্রয়োজন হয় না।
  • যে কোন খাবারের হোম ডেলিভারির ব্যবসা হচ্ছে স্বল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসার মধ্যে একটি অন্যতম ব্যবসা।
  • অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করতে চাইলে আপনি ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
  • ফলের রসের ব্যবসা হচ্ছে অল্প পুঁজিতে ব্যবসায়ের একটি দারুন আইডিয়া।
  • মধু বিক্রয় ব্যবসা হচ্ছে এক স্বল্প পুঁজিতে একটি লাভবান ব্যবসা।
  • স্বল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করতে চাইলে আপনি চা বিক্রি ব্যবসাও শুরু করতে পারেন।
  • ঝাল মুড়ির ব্যবসা হচ্ছে স্বল্প পুঁজির ব্যবসা।
  • স্বল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চাইলে আপনি মাছের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
  • স্বল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করার একটি দারুণ আইডিয়া হচ্ছে অনলাইনে কোর্স বিক্রির ব্যবসা। কিন্তু এ ব্যবসা করতে আপনার অভিজ্ঞতার প্রয়োজন পড়বে।
  • একটি কফিশপ খুলেও আপনি শুরু করতে পারেন অল্প মূলধন দিয়ে লাভজনক ব্যবসা।
  • স্বল্প মূলধন দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চাইলে মোবাইল রিচার্জ অথবা ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
  • অল্প মূলধন দিয়ে ব্যবসা শুরু করার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ব্লগিং ব্যবসা। এটির মাধ্যমে এখন মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে।
  • স্বল্প মূলধন দিয়ে আরেকটি জনপ্রিয় ব্যবসা হচ্ছে হস্তশিল্পের ব্যবসা। এ ব্যবসার দিন দিন চাহিদা বেড়েই চলেছে।
  • বুটিক শপের ব্যবসা হতে পারে আপনার জন্য অল্প মূলধন দিয়ে শুরু করা একটি লাভবান ব্যবসা।
  • আপনি যদি স্বল্প মূলধনে ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
  • স্বল্প মূলধনে অধিক লাভবান হওয়ার আরেকটি ব্যবসা হচ্ছে মুরগির ব্যবসা।
  • অল্প মূল্য দিয়ে আপনি গিফট শপের ব্যবসাও শুরু করতে পারেন।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যবসা অল্প মূলধন দিয়ে খুব সহজেই শুরু করা যেতে পারে।

কিভাবে শুরু করব পাইকারি ব্যবসা

যেকোনো ধরনের পাইকারি ব্যবসা শুরু করার পূর্বে প্রথমেই আপনাকে একটি পরিপূর্ণ পরিকল্পনা করতে হবে। ব্যবসায় আপনার বিনিয়োগ কতটুকু হবে এবং ব্যবসায়ের এলাকা সম্পর্কে আপনাকে সম্পূর্ণ ধারণা থাকতে হবে। 

কোন পণ্যের উপরে পাইকারি ব্যবসা করতে চান প্রথমেই সেই পণ্যটি সিলেক্ট করুন। যেই পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান সেই পণ্যের কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে যোগাযোগ করুন। আপনি যে পণ্যটি সিলেক্ট করবেন সেই পণ্যটি সরবরাহ করার জন্য নির্দিষ্ট খাত খুঁজে বের করুন। 

যে সকল ব্যক্তিরা পাইকারি ব্যবসা করে তাদের সাথে একটি ভালো লিংক গড়ার চেষ্টা করুন। পাইকারি ব্যবসা শুরু করার পূর্বে পাইকারি ব্যবসার সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা অর্জন করার চেষ্টা করুন। ব্যবসা শুরু করার পূর্বে একটি ব্যাকআপ প্ল্যান তৈরি করুন।

লেখকের মন্তব্য

আশা করা যায় যে আপনারা পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেলটি পড়ে পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কে একটি ন্যূনতম ধারণা পেয়েছেন। কোন ব্যবসা আপনার জন্য হবে লাভজনক আর কোনটি হতে পারে আপনার জন্য ক্ষতিকারক তা বুঝতে পেরেছে। 

যেকোনো পাইকারি ব্যবসা থেকে লাভবান হওয়ার মূলমন্ত্র হচ্ছে সঠিক পরিকল্পনা আর সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা। যে কোন ব্যবসা শুরু করার পূর্বে সঠিকভাবে পরিকল্পনা করুন। পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কে যদি আপনাদের আরো কোন প্রশ্ন থাকে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জিজ্ঞাসা করতে পারেন আমরা আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url