ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে জানুন এবং এখনই সতর্ক হন

থ্যালাসেমিয়া রোগী কত দিন বাঁচে জানুনআপনি কি ব্লাড ক্যান্সার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? যদি আপনি ব্লাড ক্যান্সারের সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেতে চান তাহলে ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে আর্টিকেলটি পড়ুন। আপনাদের সুবিধার্থে ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিনড়ুন।চে আর্টিকেলে ব্লাড ক্যান্সার রোগের মৃত্যুর লক্ষণ ও কোন ব্যক্তির ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।
ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে
ব্লাড ক্যান্সার হলে কত দিন বাঁচে আর্টিকেলটি ব্লাড ক্যান্সার সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে। সেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ব্লাড ক্যান্সার কী

ব্লাড ক্যান্সার নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে যে এটি একটি রক্তের ক্যান্সার। রক্তের ক্যান্সারকেই ব্লাড ক্যান্সার বলা হয়ে থাকে। ক্যান্সারের মধ্যে এটি হচ্ছে একটি ভয়ংকর ক্যান্সার। বলা হয় যে ব্লাড ক্যান্সার সাধারণ ক্যান্সারের ক্ষেত্রে ৬% দায়ী। ব্লাড ক্যান্সারের আরেকটি নাম হচ্ছে হেমাটোলজিক। ব্লাড ক্যান্সার একজন মানুষের অস্থি মজার রক্ত গঠনকারী কোষ হতে শুরু হয়। 
ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার নির্দিষ্ট কোন কারণ লাগে না। যে কোন কারণেই একজন ব্যক্তির ব্লাড ক্যান্সার হতে পারে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় যে ভেজাল খাবার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যাল, হেয়ার ড্রাই, কেমোথেরাপি ড্রাগস অথবা কিছু জেনেটিক অসুখ এর কারণে ব্লাড ক্যান্সার হতে পারে। ব্লাড ক্যান্সার আমাদের শরীরের লোহিত রক্ত কণিকা থেকে সৃষ্টি হয়। 

এই রোগ হতে নির্দিষ্ট কোন বয়স লাগে না। বিভিন্ন বয়সেই ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে দেখা যাই। ব্লাড ক্যান্সার কোনরকম ছোঁয়াচে রোগ নয়। ব্লাড ক্যান্সারে যেই ব্যক্তি আক্রান্ত হয় শুধুমাত্র তার কাছেই এই রোগ থাকে। বিভিন্ন ধরনের ব্লাড ক্যান্সার দেখা যায়। যেমনঃ

লিম্ফোমাঃ লিম্ফোমা ব্লাড ক্যান্সারের এক ধরণ। এই ব্লাড ক্যান্সার মানুষের লিম্ফ্যাটিক সিস্টেমকে প্রভাবিত করে থাকে যা একজন মানুষের মিলন সিস্টেমের একটি অংশবিশেষ। লিম্ফোমা আবার দুই ধরনের হয়ে থাকে। প্রথমত হচ্ছে হজনিক লিম্ফোমা আর দ্বিতীয় হচ্ছে নন-হজনিক লিম্ফোমা।

লিউকেমিয়াঃ লিউকেমিয়া ব্লাড ক্যান্সার মানুষের শ্বেত রক্তকণিকাকে প্রভাবিত করে। এই ব্লাড ক্যান্সার মানুষের শ্বেত রক্ত কোষের উৎপাদন হতে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।লিউকেমিয়া আবার দুই ধরনের হয়ে থাকে প্রথমত হচ্ছে তীব্র লিউকেমিয়া আর তৃতীয়ত হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী লিউকেমিয়া।

মাইলোমাঃ মাইলোমা ব্লাড ক্যান্সার মানুষের প্লাজমা কোষ কে প্রভাবিত করে। মাইলোমা কোষ গুলো মানুষের শরীরে অস্বাভাবিক অ্যান্টিবডি তৈরি করে আর সেই কারণে মানুষের ইমিউন সিস্টেমের স্বাভাবিক কাজে ব্যাহত ঘটে।

উপরের উল্লেখিত ব্লাড ক্যান্সার গুলো হচ্ছে প্রধান ব্লাড ক্যান্সারের ভেতর পড়ে। এছাড়াও কিছু বিরল ব্লাড ক্যান্সার লক্ষ্য করা যায়। সেগুলো হচ্ছেঃ
  • মায়লোডিসপ্লাস্টিক সিনড্রোম
  • মায়লোপ্রলাইফেরেটিভ নিওপ্লাজম

কি খেলে ব্লাড ক্যান্সার হয়

সাধারণত ব্লাড ক্যান্সার নির্দিষ্ট কোন কারণ ছাড়াই একজন ব্যক্তির ব্লাড ক্যান্সার হতে পারে। একজন ব্যক্তির ব্লাড ক্যান্সার হলে কত দিন বাঁচে তা নির্ভর করে তার ক্যান্সারের স্টেজ এর ওপর। যেকোনো বয়সে একজন ব্যাক্তি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে। ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার নির্দিষ্ট কোন কারণ খুঁজে না পাওয়া গেলেও কিছু কিছু কারণ রয়েছে যেগুলোর ফলে ব্লাড ক্যান্সার হতে পারে। 
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা এমন অনেক খাবার খাই যে সকল খাবার আমাদের ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। আর আমরা না বুঝেই প্রতিনিয়ত সে সকল খাবার খেয়েই চলেছি। তাই সে সকল খাবার খাবার খেতে যদি সচেতনতা অবলম্বন না করি তাহলে একদিন আপনার এবং আমার ও হতে পারে ব্লাড ক্যান্সার। কি খেলে ব্লাড ক্যান্সার হয় জেনে নিনঃ

সাদা ময়দাঃ প্রতিটি ঘরেই দেখা যায় সাদা ময়দা। সকালের নাস্তা হতে শুরু করে বিকালের নাস্তা পর্যন্ত প্রতিনিয়তই সকল ক্ষেত্রে সাদা ময়দা ব্যবহার করে আসছেন। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন যে এই সাদা ময়দা হতে পারে আপনার ক্যান্সার হওয়ার প্রধান খাদ্য। 

এখনকার সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রিফাইন্ড ময়দাই রং করা হচ্ছে। আর সেই রং করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে রাসায়নিক পদার্থ। যা আপনার ক্যান্সার হওয়ার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ খাবার।

পরিশোধিত খাবারঃ আমরা অনেকেই জেনে অথবা না জেনে পরিশোধিত খাবার খেয়ে থাকি। অনেকেই প্রতিনিয়ত ময়দা দিয়ে পরোটা অথবা পুড়ি বানিয়ে সাদা তেলে ভেজে অনেক স্বাদ নিয়ে খেয়ে থাকি। এই দুটোই হচ্ছে পরিশোধিত খাবার। যা আমাদের শরীরের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে সাহায্য করে।

লো ফ্যাট প্রোডাক্টঃ আমাদের আশেপাশে এমন অনেক খাবার রয়েছে যে সকল খাবারের প্যাকেটেই লেখা থাকে লো ফ্যাট। আর সেটি দেখা সত্বেও আমরা সেই খাবার ব্যবহার করে থাকি। যে সকল খাবারে লিখা আছে লো ফ্যাট সেই সকল খাবার হতে দূরে থাকতে হবে। সে সকল খাবার খাওয়ার কারণেও হতে পারে আপনার ক্যান্সার এর মত মরণব্যাধি।

প্যাকেটজাত দ্রব্যঃ অনেকেই বাজার থেকে প্যাকেটজাত করা দ্রব্য কিনে বাসায় খেয়ে থাকেন। কিন্তু প্যাকেট জাত দ্রব্য ভালো রাখার জন্য তাতে মেশানো হয় এক ধরনের রাসায়নিক কেমিক্যাল। যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকারক হতে পারে ক্যান্সার। তাই প্যাকেট জাত দ্রব্য থেকে দূরে থাকতে হবে।

ভাজাপোড়াঃ ভাজাপোড়া আমাদের সকলেরই অনেক বেশি পছন্দের। বিকেল অথবা সন্ধ্যার নাস্তা যেন প্রধান ভাজাপোড়া। রাস্তার ধারে হোক কিংবা বাসায় আমরা সকলেই ভাজাপোড়া একটু বেশি খেয়ে থাকি। 
আরও পড়ুনঃ 
কিন্তু এই ভাজাপোড়া হতে পারে আমাদের ক্যান্সারের কারণ। বিশেষ করে আলু এবং মাংস ডুবো তেলে ভাজলে তাতে অ্যাক্রিলামাইড তৈরি হয় যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। তাই আমাদের উচিত হবে ভাজাপোড়া খাবার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা।

মাইক্রোওয়েভে তৈরি পপকর্নঃ মাইক্রোওভে তৈরি করতে অনেক কম সময় লাগাই অনেকেই মাইক্রোওয়েভে পপকর্ন তৈরি করে খেয়ে থাকেন। মাইক্রোওয়েভ এ তৈরি কৃত পপকর্ন আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু ক্ষতিকারক হচ্ছে পপকর্নের প্যাকেট। পপকর্নের প্যাকেটে থাকে এক ধরনের এসিড যা আমাদের শরীরে ক্যান্সার তৈরি করতে সাহায্য করে।

কৃত্রিম চিনিঃ কৃত্রিম চিনি আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকারক। এটি আমাদের শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াই এছাড়াও ক্যান্সারের কোষ গুলোকেও জাগ্রত করতে সাহায্য করে। তাই কৃত্রিম চিনি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

ব্লাড ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা

ক্যান্সার রোগী অথবা ব্লাড ক্যান্সার রোগী হওয়া মানেই জীবনের সাথে যুদ্ধ করা। বাঁচা এবং মরা নিয়ে নিজেকে যুদ্ধ করে যেতে হয়। বিভিন্ন রকমের থেরাপি সহ অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। আর সেই কারণে হয়ে ওঠে শারীরিকভাবে দুর্বল। কিন্তু এই সময় রোগীকে শারীরিক ভাবে দুর্বল হতে দেওয়া চলবে না। 

রোগীর শরীরে থাকতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি। তাই ব্লাড ক্যান্সার রোগীকে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। এছাড়াও যে সকল খাবার রোগীর ইমিউনিটি সিস্টেমকে বাড়িয়ে তুলবে সেই সকল খাবার প্রতিনিয়ত খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। ব্লাড ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা।

গাজরঃ গাজরের ভিতর রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোকেমিক্যাল যা আমাদের শরীরের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। জার্নাল অফ এগ্রিকালচার এন্ড ফুড কেমিস্ট্রির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে কাঁচা গাজরে অধিক পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপস্থিত থাকে যা রান্না করা গাজোরে থাকে না। তাই ক্যান্সার রোগীকে নিয়মিত গাজর খেতে হবে।

পালং শাকঃ পালং শাক এমন এক ধরনের শাক যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকে। পালং শাকের ভেতর রয়েছে ফাইবা এবং ফুলেট যা শরীরের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে। ক্যান্সার রোগের নিয়মিত খাদ্য তালিকায় পালং শাক রাখার চেষ্টা করতে হবে।

শস্য দানাঃ শস্য বানাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট ও ফাইটোকেমিক্যালস যা আমাদের শরীরে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি করতে বাধা সৃষ্টি করে। আপনার যদি শস্য দানা খাওয়ার অভ্যাস না থাকে এবং আপনি যদি ক্যান্সার রোগী হয়ে থাকেন তাহলে আজ থেকেই শস্য দানা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

মাছ ও মাংসঃ মাছ মাংসের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। যা একজন মানুষের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এই সকল খাবার ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য না করলেও ক্যান্সার রোগীর শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই ক্যান্সার রোগীকে নিয়মিত মাছ মাংস খেতে হবে। কিন্তু অবশ্যই প্রক্রিয়াজাতকরণ মাছ মাংস থেকে বিরত থাকতে হবে।

দইঃ দই আমাদের হজমের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এছাড়াও প্রোটিনের একটি প্রধান উপাদান হিসাবেও কাজ করে। তাই ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে হজম শক্তি ঠিক রাখতে এবং শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বাড়াতে খাদ্য তালিকায় দই রাখতে হবে।

সোয়াঃ সোয়াতে রয়েছে আইসোফ্ল্যাভোনস নামক ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট যা রয়েছে ক্যান্সার রোধ করার মত বৈশিষ্ট্য। তাই ক্যান্সার রোগী পরিমিত পরিমাণে সোয়া অথবা সোয়া দুধ খেতে পারেন।

বিভিন্ন রকম ফলঃ যেসকল ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জল ক্যান্সার রোগী সেই সকল ফল নিঃসন্দেহে খেতে পারেন। যেমনঃ তরমুজ, আনারস, বেরি, নাশপাতি ইত্যাদি। এ সকল ফল ক্যান্সার রোগীর জন্য অনেক বেশি উপকারী।

ভিটামিন সিঃ যে সকল খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে সে সকল খাবার খেতে পারেন। কারণ ভিটামিন সি একজন ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর ক্যান্সারের রোগের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি থাকা জরুরী। তাই যে সকল খাবারে ভিটামিন সি রয়েছে সে সকল খাবার খান।

টমেটোঃ টমেটোতে রয়েছে লাইকোপিন যা আমাদের শরীরের জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। আর এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে।

ব্লাড ক্যান্সার রোগের মৃত্যুর লক্ষণ

ব্লাড ক্যান্সার হোক অথবা ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর সংখ্যায় বেশি দেখা গেছে। ক্যান্সার রোগের ঔষধ আবিষ্কৃত হলেও তা অনেক বিরল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী যদি স্টেজ বেশি হয়ে যায় তাহলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয় না। এক গবেষণায় দেখা গেছে ৩৫৭ জন রোগীর মাঝে ৫৭% রোগী মারা গেছে। 

বর্তমানে আরাম গবেষণায় বলেছেন যে ক্যান্সার রোগীর কিছু লক্ষণ দেখলেই বলে দেওয়া যাবে যে সেই রোগী কতদিন বাঁচবে। আর এই গবেষণাটি করেছেন ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস এর এম ডি এন্ডারসন ক্যান্সার সেন্টারের গবেষক। এছাড়াও ডেভিড হুই বলেছেন যে ক্যান্সার রোগী মৃত্যুর ৩ দিন আগে বেশ কিছু লক্ষণ তাদের মধ্যে প্রকাশ পায়। ব্লাড ক্যান্সার রোগের মৃত্যুর লক্ষণ গুলো আলোচনা করলাম।
  • মাথা সামনের দিকে নুয়ে পড়ে।
  • কণ্ঠনালী থেকে গড়গড় আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়।
  • গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল উপরের অংশে রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে।
  • দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। 
  • যখন কথা বলে তখন মুখ এবং জিহ্বার নড়াচড়া কমে যাই।
  • আলোর প্রতিফলন কমবেশি হওয়াতে দৃষ্টির কোন পরিবর্তন হয় না।

ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে

ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে এটি একেবারেই নির্ধারণ করে বলা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। এটি ডাক্তারের ও বলা সম্ভব নয়। কারণ কথায় আছে হায়াত এবং মউত দুটোই হচ্ছে আল্লাহর হাতে। আল্লাহ যদি কাউকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই তাহলে তাকে মেরে ফেলার ক্ষমতা কারো নেই। ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও তাই। ক্যান্সার রোগী কতদিন বাঁচবে অথবা বাচবে কি মরবে তা একেবারেই নির্ধারণ করে বলা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। 

অনেক ক্যান্সার রোগী রয়েছে যারা ক্যান্সার চিকিৎসা করানোর পর আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। আবার অনেক ক্যান্সার রোগী রয়েছেন যারা অল্প বয়সেই প্রাণ হারিয়েছেন। একজন ব্যক্তি যখন ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয় তখন তার ক্যান্সারের ধরন এবং ক্যান্সার হওয়ার স্থান দেখে নির্ভর করা যায় যে ক্যান্সার রোগীর পরিণতি কি হবে। তবে কতদিন বাঁচবে এই কথা বলা যাবে না। 

ক্যান্সারের কারণে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক কোষ পরিবর্তন হয়ে ক্যান্সার কোষে রূপান্তরিত হয়। আর এই ক্যান্সার কোষ যদি অপারেশন করে কেটে ফেলা হয় তাহলেও ক্যান্সার কোষ মৃত্যুবরণ করেনা। তাই বিভিন্ন ঔষধ দ্বারা সেই কোষ মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। অনেক সময় ক্যান্সার কোষের পাশাপাশি আমাদের শরীরের সুস্থ কোষের ও ক্ষতি হয়ে থাকে। 

ক্যান্সার কোষ আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর যখন ক্যান্সারের কোষ রোগীর বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে তখন সেই রোগী বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয় যেমনঃ রোগী শুকিয়ে যায়, রোগীর ক্ষুধা মন্দা দেখা দেয়। যদি কোন ব্যক্তির লিভার অথবা ব্রেনে ক্যান্সার হয় তাহলে সেই রোগীর মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। কিন্তু ব্লাড ক্যান্সার হলে রক্ত পরিবর্তন করেও অনেক সময় রোগী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। 

ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ার পর রোগী সঠিক চিকিৎসা পেলে তার পরিণতি দ্বারায় এক আর সঠিক চিকিৎসা না পেলে তার পরিণতি দাড়াই আরেক। অনেক সময় ক্যান্সার রোগীর পরিণতি কি হবে তা নির্ভর করে চিকিৎসকের উপর। চিকিৎসক যদি ভালো হয় তাহলে পরিণতি ভালো হয় আর যদি চিকিৎসক ভালো না হয় তাহলে পরিণতি ও ভালো হয় না। তাই সবশেষে বলা যায় যে ব্লাড ক্যান্সার হলে রোগী কতদিন বাঁচে তা একেবারেই বলা যাবে না।

ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায়

আমরা অনেকেই মনে করি যে ব্লাড ক্যান্সার হওয়া মানেই সবকিছু শেষ। জীবনে আর করার মত কিছুই নেই। কিন্তু এটি একেবারেই ভুল ধারণা। ব্লাড ক্যান্সার মানেই সবকিছু শেষ নয়। ব্লাড ক্যান্সারের রোগীরাও সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন। 

প্রয়োজন শুধু সঠিক চিকিৎসার। আপনি যদি চান আপনি ব্লাড ক্যান্সার হতে মুক্ত থাকবেন তাহলে এখন থেকেই কিছু নিয়ম আপনার দৈনন্দিন জীবনে যুক্ত করুন। দৈনন্দিন জীবনে কিছু অভ্যাস গড়ে তুললেই আপনি ব্লাড ক্যান্সার এর হাত থেকে রক্ষা পেতে পারবেন। ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় জেনে নিন।
  • যেকোনো ধরনের ফাস্টফুড এড়িয়ে চলতে হবে।
  • ওজনের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে।
  • যেকোনো ধরনের ধূমপান অথবা অ্যালকোহল এড়িয়ে চলতে হবে।
  • সকল কাজের ক্ষেত্রে সক্রিয় থাকতে হবে।
  • বাজারের প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবার এবং রেড মিট খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।
  • কৃত্রিম চিনি খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।

ব্লাড ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা

ব্লাড ক্যান্সার মানেই যে মৃত্যু এটি সাধারণ মানুষের একেবারেই ভুল ধারণা। আগের সময় মানুষ মনে করত ক্যান্সার হওয়া মানেই মৃত্যুবরণ করা। কিন্তু এখন বিভিন্ন রকম আধুনিক প্রযুক্তি আবিষ্কার হওয়ায় ক্যান্সারের মতো মরণঘাতীর হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া সম্ভব। 

ক্যান্সার রোগী চিকিৎসাতে ভালো হবে কিনা তা নির্ভর করবে তার ক্যান্সারের ধরন অনুযায়ী। ক্যান্সার হওয়ার প্রথম পর্যায়ে যদি কোন ব্যক্তি চিকিৎসা করেন তাহলে তার ক্যান্সার ভালো হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যায়। বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতিতে ব্লাড ক্যান্সার ভালো হয়ে থাকে। ব্লাড ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করলাম।
  • কেমোথেরাপি
  • স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্টেশন
  • টার্গেটেড থেরাপি
  • ইমিউনোথেরাপি
ব্লাড ক্যান্সার ভালো করার জন্য উপরোক্ত চিকিৎসা গুলো প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। কিন্তু অধিক ক্ষেত্রে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা হয় একটু ব্যয় বহুল।

লেখকের মন্তব্য

আশা করছি ব্লাড ক্যান্সার হলে কত দিন বাঁচে আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের ব্লাড ক্যান্সার সম্পর্কে ভুল ধারণা গুলো দূর হয়েছে। ক্যান্সার হলে আর আতঙ্ক নয় সঠিক পদ্ধতিতেও ক্যান্সার ভালো হয়। তাই ক্যান্সার হলে আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক পদ্ধতিতে ক্যান্সার ভালো করার চেষ্টা করুন। 

ক্যান্সার রোগের মহা ঔষধ হচ্ছে শরীরে সকল প্রকার চিনি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া। শরীরে যদি কোন ভাবেই চিনি না পৌঁছায় তাহলে ক্যান্সারের কোষ গুলো অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। আশা করছি তথ্যটি আপনাদের কাজে দেবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url