ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে কিভাবে সেই সম্পর্কে জানুন

শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয় জানুনবাংলাদেশে একটি বহুল প্রচলিত রোগ হিসেবে ধরা হয় ডায়াবেটিস। প্রায় প্রতিটি ঘরে কমবেশি কোন একজন ব্যক্তি ডায়াবেটিস সমস্যায় পড়ে থাকেন। আর মনে মনে ভাবেন ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে কিভাবে। আপনার চিন্তাধারা যদি এরকম হয় তাহলে ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে এই আর্টিকেলটি পড়ুন। ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে এই আর্টিকেলে ডায়াবেটিস কেন হয় আলোচনা করেছি।
ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে
আর্টিকেলটি পড়ে আপনি বুঝতে পারবেন ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে কিভাবে। এই সমস্যার সমাধান খোঁজার জন্য আর্টিকেলটি একবার পড়ুন। আপনার ডায়াবেটিস সমস্যার সমাধান আমি এই আর্টিকেলে আলোচনা করেছি।

ডায়াবেটিস কেন হয়

ডায়াবেটিস এই নামটি আমাদের সকলের খুবই পরিচিত একটি নাম। এই রোগটি এখন বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে লক্ষ্য করা যায়। মানুষের একটু বয়স বাড়ার সাথে সাথেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। কিন্তু বর্তমানে বয়স হলেই যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে তা কিন্তু নয়। আজকাল অল্পবয়স্ক মানুষরাও ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। 
আর সেই কারণে অনেকেই ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে কিভাবে সেই নিয়ে চিন্তায় থাকে। ডায়াবেটিসের কারণে একটি মানুষের শরীরের বিভিন্ন রকমের সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস একটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি কমিয়ে দেয়। এবার জানব ডায়াবেটিস কেন হয়। 

আমরা অনেকেই মনে করি অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার অথবা চিনি খেলে যে কোন ব্যক্তি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে পড়বে। কিন্তু এটি একদম ভুল ধারণা। অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার সাথে ডায়াবেটিসের কোন সম্পর্ক নেই। ডায়াবেটিস কে বহুমূত্র রোগ ও বলা হয়ে থাকে। প্রতিটি মানুষ যখন খাবার খায় তখন সেই খাবার থেকে এক ধরনের ইনসুলিন নিঃসৃত হতে থাকে। 

আর সেই ইনসুলিন আমাদের শরীরের গ্লুকোজের পরিমাণ কন্ট্রোল করতে সাহায্য করে। কোন কারনে যদি সেই ইনসুলিন নিঃসৃত না হয় কিংবা ইনসুলিন সঠিকভাবে গ্লুকোজ কন্ট্রোল করতে না পারে তখন আমাদের শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ অনেক বেশি বেড়ে যায়। 

আর সেই কারণে আমাদের শরীরে যে ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় তাকে আমরা ডায়াবেটিস বলে থাকি। সেহেতু আমরা বলতে পারি আমাদের শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে তা থেকে ডায়াবেটিস হয়ে থাকে।

ডায়াবেটিস হওয়ার লক্ষণ

ডায়বেটিস এমন এক ধরনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে যার কারণে একটি মানুষের শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। যা নিয়ে অনেকেই অনেক বেশি চিন্তিত থাকেন কিভাবে ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে। অনেকেই রয়েছে যারা একটি দুইটি লক্ষণ দেখে মনে করে তার ডায়াবেটিস হয়েছে। 
কিন্তু আপনি যদি শুধুমাত্র একটি দুটি লক্ষণ দেখে মনে করেন আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে তাহলে এটি একদম ভুল হবে। বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে যে সকল লক্ষণ একজন ডায়াবেটিস রোগীর ভেতর প্রকাশ পাই। তাই কখনোই একটি দুটি লক্ষণ দেখে মনে করে বসবেন না আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে। 

ডায়াবেটিস হওয়ার লক্ষণগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি লক্ষণ প্রকাশ পেলে আপনি ভাবতে পারেন আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে। তখন আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এখন জেনে নিন ডায়াবেটিস হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি।
  • ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হলে চোখে কম দেখতে শুরু করবেন।
  • শরীরের কোন রকমের ক্ষত হলে সেটি দীর্ঘ সময় ধরে থাকার পরেও ঠিক হবে না।
  • ডায়াবেটিস রোগীর মেজাজ খিটখিটে হয়ে উঠবে।
  • ডায়াবেটিস রোগীর ওজন হঠাৎ অতিরিক্ত কমে যাবে।
  • ডায়াবেটিস প্রকাশ পেলে ব্যক্তির মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাবে।
  • হঠাৎ সেই ব্যক্তির ক্ষুধা বেড়ে যাবে।
  • আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে ঘন ঘন প্রসাব হওয়া।
  • একটু পর পর পানির পিপাসা পাবে।
  • শরীর অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়া এবং ঝিমানো।
  • শরীর অনেক বেশি রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যাওয়া।

ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ

অনেকে রয়েছে যারা মনে করে ডায়াবেটিস হওয়া মানেই অনেক বড় সমস্যা হবে। ডায়াবেটিস একজন ব্যক্তির জীবনে বিভিন্ন রকম সমস্যা সৃষ্টি করে ঠিকই কিন্তু ডায়াবেটিস এর পরিমাণ যখন একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় বেড়ে যায় তখন সেই ব্যক্তিকে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তাই অবশ্যই একজন ব্যক্তিকে জানতে হবে ডায়াবেটিস এর পরিমাণ কত থাকলে সেটিকে নরমাল এবং ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ হবে। 
একজন ব্যক্তির যদি ভরা পেটে ডায়াবেটিসের পরিমাণ যদি ৭.৮ এর থেকে বেশি যদি হয় তাহলে এটিকে প্রি ডায়াবেটিস বলা হয়ে থাকে। আর যদি কোন ব্যক্তির ১১.১ পয়েন্টের বেশি হয় এটি ডায়াবেটিসের মাত্রায় চলে যায়। আর খালি পেটে যদি ৫.৫ পয়েন্ট থাকে তাহলে এটিকে ভালো বলা যাবে। আর যদি ডায়াবেটিসের পয়েন্টে মাত্রা ৫.৫ এর থেকে বেশি ৬.৯ এর কাছাকাছি থাকে তাহলে এটিকে প্রি ডায়াবেটিস ধরা হয়। 

আর যদি এই ডায়াবেটিসের পরিমাণ ৭ এর উপরে উঠে যায় তাহলে এটিকে ডাইবেটিস বলা হয়। যদি কোন ব্যক্তির ডায়াবেটিস এর পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের নিকট গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে হবে

কি কি খাবার খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে

ডায়াবেটিস হলে একজন ব্যক্তি অনেক বেশি চিন্তিত হয়ে পড়ে। মনে মনে ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে কিভাবে সেই নিয়ে চিন্তায় থাকেন। অনেক ব্যক্তি রয়েছে যাদের খাদ্যাভাসেও অনেক পরিবর্তন আনতে হয়। কারণ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাবার কারণে খুব সহজেই ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পেতে পারে। 

তাই আমাদের ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করে রাখতে সে সকল খাবার মেনে খেতে হবে। আসুন তাহলে জেনে নেই কি কি খাবার খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে। আপনি যদি ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে সেই সকল খাবার গুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
  • ডায়াবেটিস রোগীদের মাটির নিচের সবজি যেমন আলু খাওয়া থেকে বিরত থাকাই শ্রেয় হবে।
  • অতিরিক্ত ভুট্টা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। তাই অতিরিক্ত ভুট্টা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া কখনোই উচিত নয়। আর আমরা সকলেই জানি গরুর মাংসের প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে তাই গরুর মাংস একটু কম খাওয়াই ভালো।
  • ডায়াবেটিস রোগীদের কিসমিস সহ বিভিন্ন রকম ড্রাই ফ্রুট যেগুলোতে প্রাকৃতিক চিনি উপস্থিত সে সকল খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। এই সকল খাবার দ্বারা খুব সহজেই ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পায়।
  • বাজারে বিভিন্ন রকম ড্রিংকস পাওয়া যায় যে সকল ড্রিংকসে প্রচুর পরিমাণে কৃত্রিম মিষ্টি দ্রব্য ও ক্যাফেইন মেশানো থাকে যা খাওয়ার ফলে খুব সহজেই ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে।
  • কিছু কিছু ফল রয়েছে যে সকল ফল প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি হয় যা একজন ডায়াবেটিস রোগীর শরীরে ডায়াবেটিস বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। সেই সকল ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে

কিছু কিছু ফল রয়েছে যেই সকল ফল প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি হয়ে থাকে। আর সেই সকল ফল খাওয়ার ফলে খুব সহজেই আপনার ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে। তাই অবশ্যই সেই সকল ফল খাওয়ার পূর্বে একটু বুঝে শুনে সেই সকল ফল খাবেন। এমন কিন্তু নয় কোনরকম ফল খাওয়া যাবে না। 

ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। কিন্তু কিছু কিছু ফল যে সকল ফল ডায়াবেটিস রোগীর শরীরের উপকারের চেয়ে অপকার করে অনেক বেশি। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে। আমি আপনাদের বলে দিচ্ছি কোন কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে।
  • সবেদা
  • কলা
  • তরমুজ
  • আনারস
  • আঙ্গুর
  • আম
  • কাঁঠাল
  • খেজুর
  • লিচু
  • কিসমিস

কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে

আমরা অনেকেই জানি যে ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হয়। একজন ডায়েরিটিস রোগীর যেকোনো খাবার খাওয়ার পূর্বে একটু বুঝে শুনে খেতে হয়। কারণ বিভিন্ন খাবার দ্বারা একজন ডায়াবেটিস ব্যক্তির ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে। কিছু কিছু ফল খাওয়ার ফলেও একজন ব্যক্তির ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পেতে পারে। 

ঠিক সে রকম কিছু কিছু ফল রয়েছে যে সকল ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে যায়। আপনি যদি আপনার ডায়াবেটিস নিয়ে চিন্তিত থাকেন এবং ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে রাখতে চান তাহলে নিয়মিত কিছু ফল আপনার খাদ্য তালিকায় রাখুন। আপনি যদি নিয়মিত সেই সকল ফল আপনার খাদ্য তালিকায় রাখলেন তাহলে ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে। জেনে নিন কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে।
  • কমলালেবু
  • পেঁপে
  • বেদানা
  • পেয়ারা
  • স্ট্রবেরি
  • আপেল
  • চেরি
  • এভোকেডো
  • কামরাঙ্গা
  • নাশপাতি

ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে

আপনি যদি ডায়াবেটিস নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হয়ে থাকেন তাহলে আমি আপনাদের সামনে কিছু পদ্ধতি আলোচনা করব যে সকল পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনার ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে। এই সকল পদ্ধতি বাসায় ব্যবহার করে আপনি আপনার ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করতে পারবেন। এখন জেনে নিন ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে কিভাবে।

১। পেঁয়াজের রস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই আপনি আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রতিদিন পেঁয়াজ খেতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে পেঁয়াজের নির্যাস,অ্যালিয়াম সিপা ডায়াবেটিস অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তাই আপনি যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় কাঁচা পেঁয়াজ রাখুন।

২। ডায়াবেটিস নিরাময়ের ক্ষেত্রে আরেকটি কার্যকারী উপাদান হচ্ছে করলা। করলা আমাদের শরীরের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে অনেক বেশি সাহায্য করে। এছাড়াও ইনসুলিন নিঃসরণ করতেও করলার ভূমিকা অনেক বেশি। প্রতিদিন সকালে করলার রস আপনার ডায়াবেটিস নিরাময়ে অনেক বেশি সাহায্য করবে।
অ্যালোভেরা জেল ডায়াবেটিস নিরাময়ের ক্ষেত্রে অনেক বেশি উপকারী। প্রতিদিন অ্যালোভেরা জেল এর সাথে হলুদ এবং তেজপাতা মিশিয়ে খাওয়া শুরু করুন দেখবেন খুব দ্রুত আপনার ডায়াবেটিস নিরাময় হয়ে গেছে।

৩। ডুমুর ডায়াবেটিস নিরাময়ের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সাহায্য করে। এটি শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে অনেক বেশি লক্ষ্য করা যায়। আপনি আপনার ডায়াবেটিস নিরাময়ের একটি উপাদান হিসেবে ডুমুর ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে ডুমুরের পাতা ইনসুলিন প্রতিরোধের উন্নতিতে অনেক বেশি উপকারী।

৪। সজনে পাতা ডায়াবেটিস নিরাময়ের একটি মুখ্য উপাদান হিসেবে কাজ করে। আপনি আপনার ডায়াবেটিস নিরাময় করতে সজনে পাতা খেতে পারেন। কিছুটা পরিমাণ সজনে পাতা শুকিয়ে গুড়ো করে অনেকদিন সংরক্ষণ করে সেটি খেতে পারেন। আপনার ডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রে অনেক বেশি উপকার দেবে।

ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়

আমরা সকলেই জানি ডায়াবেটিস সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। প্রথমত হচ্ছে টাইপ-১ এবং দ্বিতীয়ত হচ্ছে টাইপ-২। দুই ধরনের ডায়াবেটিস দেখা দিলে একটি মানুষের বিভিন্ন রকমের সমস্যা হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস আমাদের দেশে এক ধরনের মহামারী আকার ধারণ করেছে। প্রতিটি পরিবারের কোন একজন ব্যক্তির ডায়াবেটিস রয়েছে। 

একজন ব্যক্তির ডায়াবেটিস দেখা দিলে বিভিন্ন রকম লক্ষণ প্রকাশ। ডায়াবেটিস যদি অনেক বেশি বৃদ্ধি পায় তাহলে সেটি ইনসুলিন দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায় সেই সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে এখন পর্যন্ত কিছু বলা যায় না। কিন্তু একজন ব্যক্তির ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে স্ট্রোক অথবা হার্টের সমস্যা হতে পারে। আর যে কারণে মানুষ মারা যায়।

পরামর্শমূলক কিছু কথা

কোন ব্যক্তির যদি ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তাহলে সে ব্যক্তি অনেক বেশি চিন্তিত হয়ে পড়ে এবং মনে মনে ভাবতে থাকে ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে কিভাবে। কোন ব্যক্তির একবার ডায়াবেটিস ধরা পড়লে সেটি সহজে ভালো হয় না। কিন্তু আপনি আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বাভাবিকভাবেই জীবন যাপন করতে পারবেন। 

তাই আপনার যদি ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তাহলে চিন্তিত না হয়ে ছোট ছোট কিছু নিয়ম মেনে চলুন। আশা করছি আমার আর্টিকেলটি পড়ে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। আপনি যদি অন্য কোন বিষয়ে জানতে চান তাহলে আমাকে কমেন্টে জানাতে পারেন। আমি আপনার সমস্যার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url