প্রাইমারি অটিজমের লক্ষণ ও প্রতিকার
আপনার পরিবারের এমন একটি সদস্য রয়েছে যার ব্যবহার স্বাভাবিক নয় আর তা নিয়ে
আপনি চিন্তিত। আপনি কি প্রাইমারি অটিজমের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে
চাচ্ছেন। তাহলে আমার লেখা প্রাইমারি অটিজমের লক্ষণ ও প্রতিকার এই আর্টিকেলটি
পড়ুন। আমি এই আর্টিকেলে প্রাইমারি অটিজমের লক্ষণ ও প্রতিকার এবং অটিজম কি কারনে
হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আশা করছি আমার লেখা প্রাইমারি অটিজমের লক্ষণ ও প্রতিকার আর্টিকেলটি পড়ে আপনি
উপকৃত হবেন। আপনার প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পেতে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত
পড়ুন।
অটিজম কত প্রকার
বিভিন্ন কারণে আমাদের পরিবারের এমন একটি শিশু জন্মগ্রহণ করেন যার ব্যবহার কিংবা
কথাবাত্রা স্বাভাবিক নয়। তাদের জীবনযাত্রা সাধারণ শিশুদের মতো হয় না। এর প্রধান
কারণ হতে পারে শিশুটি অটিজম রোগে আক্রান্ত। শিশুটি অটিজম রোগে আক্রান্ত কিনা তা
জানতে অবশ্যই প্রাইমারি অটিজমের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ আমরা
যদি এই সম্পর্কে সঠিকভাবে না জেনে থাকি তাহলে সে শিশুর জন্য এটি মারাত্মক হয়ে
উঠতে পারে।
আরও পড়ুনঃ নবজাতকের খিঁচুনি হলে কি সমস্যা হবে
প্রথমেই জেনে নিন অটিজম কত প্রকার হয়ে থাকে। সাধারণত অটিজম বিভিন্ন রকম হয়ে
থাকে কিন্তু সবচেয়ে বেশি দুটি অটিজম সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। যা সাধারণত লক্ষ্য
করা যায়। তার মাঝে প্রথমটি হলো ক্লাসিক অটিস্টিক ডিজঅর্ডার আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে
অ্যাস্পার্জার্স সিনড্রোম। এ দুটি অটিজম সমস্যা সচরাচর আমাদের চোখে পড়ে থাকে।
তাই আপনার পরিবারের যদি কোন শিশু অটিজমের রোগী হয়ে থাকে তাহলে আগে নিশ্চিত হয়ে
নিন আপনার শিশুটি কোন প্রকার অটিজম রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
অটিজম কি কারনে হয়
আমাদের পরিবারের অনেকে সময় এমন একটি শিশু জন্মগ্রহণ করে যে অটিজমের রোগে
আক্রান্ত হয়ে থাকে। অটিজমে আক্রান্ত শিশুর মাঝে বিভিন্ন রকম সমস্যা লক্ষ্য করা
যায়। একটি শিশুর মাঝে সাধারণত তিন বছরের মধ্যেই অটিজমের লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে
থাকে। তার কিছু কিছু কার্যকলাপ দেখে খুব সহজেই বোঝা যায় শিশুটি অটিজম রোগে
আক্রান্ত। তাই অবশ্যই আমাদের একটি শিশুর কার্যকলাপ খুব মনোযোগ সহকারে লক্ষ্য করতে
হবে।
আরও পড়ুনঃ নবজাতকের চোখ দিয়ে পানি পড়ার কারণ
একটি শিশুর অটিজম রোগে আক্রান্ত হওয়ার নির্দিষ্ট কোন কারণ এখন পর্যন্ত খুঁজে
পাওয়া যায়নি। কিন্তু কিছু কিছু বিজ্ঞানী রয়েছে যারা মনে করেন এর পেছনে দুটি
কারণ রয়েছে। প্রথমত জিনগত সমস্যা এবং দ্বিতীয়ত পরিবেশগত সমস্যা। এই দুটি কারণে
একটি শিশু অটিজম রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। বিভিন্ন অটিস্টিক রোগীদের নিয়ে
গবেষণার ফলে দেখা যায় তাদের মস্তিষ্কের সেরোটোনিন এবং নিউট্রোট্রান্সমিটার অধিক
মাত্রায় রয়েছে।
পরিবেশের কিছু কিছু বিষাক্ত উপকরণ রয়েছে যা একটি মানুষের জিনের উপর প্রভাব ফেলে
এবং স্নায়ু কোষ ধ্বংস করে। যার ফলে সে সকল উপাদান আমাদের গর্ভে থাকা শিশুর
প্রাথমিক পর্যায়ে মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ধ্বংস করে ফেলে। যা একটি শিশুর অটিজম
রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ ধরা যেতে পারে।
অটিজম রোগের লক্ষণ
একটি শিশুর জন্মের পর থেকে তিন বছরের মধ্যে অটিজম রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে থাকে।
তাই অবশ্যই আপনার শিশুর যদি কার্যকলাপ অন্যদের চেয়ে একটু আলাদা হয়ে থাকে তাহলে
সেই শিশুর দিকে একটু বেশি খেয়াল রাখতে হবে। কারণ অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে
আপনার শিশুটির মাঝে অটিজম রোগের লক্ষণগুলো প্রকাশ পাচ্ছে কিনা। আপনাকে প্রাইমারি
অটিজমের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। অটিজম রোগে আক্রান্ত
শিশুর মাঝে যে সকল লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় সেগুলো নিচে দেওয়া হলঃ
- অটিজম রোগের একটি বিশেষ লক্ষণ হচ্ছে খিচুনি ওঠা।
- স্বাভাবিক শিশুদের চেয়ে অতি চঞ্চলতা লক্ষ্য করা যায়।
- শিশুটির মাঝে বুদ্ধির ঘাটতি লক্ষ্য করা যাবে।
- অস্বাভাবিকভাবে হাত এবং পা নড়াতেই থাকে।
- শিশুটির মাঝে লক্ষ্য করা যায় এক দাঁতের সাথে আরেক দাঁত চেপে ধরে থাকে।
- যে কোন খাবার চিবিয়ে না খাওয়া।
- ঘন ঘন মনের অবস্থা পরিবর্তন হওয়া।
- যে কোন কিছুতে মনোযোগের সমস্যা।
এ সকল লক্ষণ গুলোর মধ্যে যদি বেশিরভাগ লক্ষণ আপনার শিশুর মাঝে প্রকাশ পায় তাহলে
আপনাকে ধরে নিতে হবে হয়তো আপনার শিশুটি অটিজম রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তাকে কোন
ভালো চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
অটিস্টিক শিশু চেনার উপায়
একটি শিশু জন্মের পর থেকে তিন বছরের মধ্যেই অটিজম রোগের প্রকাশ পেয়ে থাকে। তাই
অবশ্যই একটি শিশুকে তিন বছরের ভেতর বিশেষভাবে নজরদারির ভেতরে রাখতে হবে। সেই
শিশুটির কিছু কিছু লক্ষণ দেখে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন শিশুটি অটিস্টিক কিংবা
অটিজম রোগে আক্রান্ত। এখন জেনে নিন অটিস্টিক শিশু চেনার উপায় গুলো কি কি।
- অটিস্টিক রোগে আক্রান্ত শিশু অন্য শিশুদের তুলনায় ভাষা শিখতে সমস্যা হয়।
- অটিস্টিক রোগে আক্রান্ত শিশু স্পর্শের প্রতি অতিসংবেদনশীল হয়ে থাকে।
- তাদের আচরণের মধ্যে মাঝে মাঝে সমস্যা দেখা দেয়।
- অটিস্টিক রোগে আক্রান্ত শিশুর নাম ধরে ডাকলে সাড়া দেয় না।
- তারা চোখে চোখ রেখে তাকায় না।
- অটিজমে আক্রান্ত শিশুর মাঝে অতি চাঞ্চল্যতা লক্ষ্য করা যায়।
- তারা তাদের আবেগ অনুভূতিগুলো সহজে প্রকাশ করতে পারেনা।
অটিজম শিশুর খাবার
আপনাদের পরিবারে যদি কোন শিশু অটিস্টিক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে তাকে
চিকিৎসকের নিকট নিয়ে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে। তার
পাশাপাশি একজন অটিজম শিশুর খাবারের দিকে আমাদের একটু বেশি খেয়াল রাখতে হবে। কারণ
বিভিন্ন চিকিৎসা দেখা গেছে যে অটিজম রোগের প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে তার খাদ্যভাস।
তাদের কোন ধরনের খাবার পছন্দ আর কোন ধরনের খাবার পছন্দ নয় সেই সকল বিষয়ে সচেতন
থাকতে হবে।
কারণ অটিজম আক্রান্ত শিশু সাধারণ শিশুদের মতো মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে না। তাই
তাদের পছন্দ অপছন্দ গুলো আমাদের একটু বেশি খেয়াল করে বুঝতে হবে। তাদের ব্যবহার
সাধারণ শিশুদের চাইতে আলাদা হয়ে থাকে। অবশ্যই তাদের প্রতি আমাদের অতি যত্নশীল
হতে হবে। অটিজম শিশুর খাবার সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে। অটিজম শিশুর খাদ্য
তালিকায় আমাদের তাজা ফল এবং শাকসবজি বেশি রাখতে হবে। তার পাশাপাশি মাংস, ডিম,
মটরশুটি, বাদাম ইত্যাদি জাতীয় খাদ্য অবশ্যই তাদের খাদ্য তালিকায় রাখতে
হবে।
একজন অটিজম শিশুর হজমের সমস্যা হয়ে থাকে সেই শিশু সহজে খাবার হজম করতে পারে না।
অটিজম শিশুর দুগ্ধ জাতীয় খাবার হজমে অনেক বেশি সমস্যা হয়ে থাকে। তাই একটি অটিজম
শিশুর খাদ্য তালিকায় দুগ্ধ জাতীয় খাবার রাখা যাবে না। এ ছাড়াও গম, রা ই,
বার্লি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
প্রাইমারি অটিজমের লক্ষণ ও প্রতিকার
একটি শিশু জিনগত সমস্যা কিংবা পরিবেশগত সমস্যার কারণে অটিজম রোগে আক্রান্ত হয়ে
থাকে। মায়ের গর্ভাবস্থায় যদি শিশুর মস্তিষ্কের কোন রকমের সমস্যা হয় তাহলে
সাধারণত সেই শিশু জন্মের পর অটিজম রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। অটিজম রোগে আক্রান্ত
শিশুর প্রতি আমাদের অতি যত্নশীল ও সহনশীল হতে হবে। তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ সাধারণ
শিশুদের তুলনায় কম হয়ে থাকে। তাই আমাদের উচিত হবে যত্নের সাথে সেই সকল শিশুর
মস্তিষ্কের বিকাশ করানোর।
অটিজম রোগে আক্রান্ত শিশুর কিছু কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায় যা দেখে আমরা বুঝতে পারি
শিশুটি অটিজম রোগে আক্রান্ত। যেহেতু একটি শিশুর জন্মের পর থেকে তিন বছরের মধ্যেই
অটিজমের লক্ষণ প্রকাশ পায় সেহেতু যত দ্রুত সেই শিশুর চিকিৎসা করানো যাবে তার
জন্য ততই ভালো হবে। প্রাইমারি অটিজমের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করলাম।
লক্ষণঃ একটি শিশু যদি অটিজম রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে জন্মের পর
থেকেই তার কিছু কিছু লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে। সেই সকল শিশু অস্বাভাবিকভাবে হাত পা
নাড়াতে থাকে। তার নাম ধরে ডাকলে সে সাড়া দেয় না। অটিস্টিক রোগে আক্রান্ত শিশুর
হজমের সমস্যা দেখা দেয়। যে কোন খাবার চিবিয়ে খায় না। যে কোন কাজে মনোযোগ দিতে
পারেনা। অটিজম শিশু অন্য শিশুদের তুলনায় ঘুম অনেক কম হয়।
তাদের মাঝে সাধারণ শিশুর তুলনায় অনেক বেশি চাঞ্চল্যতা কাজ করে। চোখে চোখ রেখে
এরা কথা বলতে পারে না। মাঝে মাঝে সে সকল শিশুর খিচুনির সমস্যা হতে পারে। যদি তার
সামনে অনেকগুলো খেলনা রাখা হয় তাহলে লক্ষ্য করা যায় যে সে মাত্র একটি খেলনা
নিয়েই খেলা করছে।
প্রতিকারঃ অটিজম রোগের লক্ষণগুলো প্রকাশ পেলে অবশ্যই প্রথমে তাকে শিশুরোগ
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিকট নিয়ে যেতে হবে। অটিজম রোগীর চিকিৎসার প্রথম ধাপ হচ্ছে
তার খাদ্যাভাস। অবশ্যই অটিজম রোগে আক্রান্ত শিশুর খাদ্যাভাসের দিকে বেশি নজর দিতে
হবে। তাকে প্রচুর পরিমাণে তাজা শাকসবজি, ডিম, মাংস, মটরশুটি ইত্যাদি জাতীয় খাবার
খাওয়াতে হবে। অটিজম রোগে আক্রান্ত শিশুকে দুগ্ধ জাতীয় খাবার বেশি খাওয়ানো যাবে
না। কারণ তারা সহজে দুগ্ধ জাতীয় খাবার হজম করতে পারে না।
অটিজমের সমস্যাগুলো চিকিৎসার মাধ্যমে অনেকটা সারানো সম্ভব। অটিজম রোগে আক্রান্ত
শিশুটিকে যোগাযোগ ও আচরণগত থেরাপি দিতে হবে। যেমন বাইরের জগতের সাথে তাকে বেশি
বেশি পরিচয় করাতে হবে। তাছাড়াও অ্যাপ্লাইড বিহেভিয়ারেল এনালাইসিস থেরাপি,
স্পিচ থেরাপি ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়াও এখন এ সকল শিশুদের জন্য বিশেষ
কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা এ সকল শিশুদের অতি যত্নের সাথে সকল ধরনের চিকিৎসা
এবং সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। সেই সকল প্রতিষ্ঠানে শিশুকে ভর্তি করাতে পারেন।
অটিজম শিশুদের চিকিৎসা পদ্ধতি
অটিজম রোগে আক্রান্ত শিশুর প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে তার পরিবার। পরিবারের সদস্যদের
অটিজম আক্রান্ত শিশুর প্রতি অতি যত্নশীল হতে হবে। অন্যান্য শিশুর তুলনায় যেহেতু
এ সকল শিশু তাদের মনের ভাব সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারেনা তাই তাদের কথাগুলো বোঝার
চেষ্টা করতে হবে। অটিজম রোগে আক্রান্ত শিশুকে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিকটে
চিকিৎসা করাতে হবে। এর পাশাপাশি অটিজম শিশুদের চিকিৎসার মধ্যে প্রধান হলো স্পিচ
থেরাপি কিংবা ল্যাংগুয়েজ থেরাপি।
এই থেরাপির সাহায্যে একটি শিশুর কথা বলার ধরন উন্নত হয়। এছাড়াও যোগাযোগ ও
আচরণগত থেরাপি ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও অকুপেশনাল থেরাপি ব্যবহার করতে পারেন।
উপরের উল্লেখিত চিকিৎসা গুলোর সাহায্যে একটি শিশু অটিজম রোগের যে সকল জটিলতা
রয়েছে সেই জটিলতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। অটিজম এমন ধরনের একটি রোগ যার জটিলতা
চিকিৎসার মাধ্যমে অনেকটা কমানো যায়।
সর্বশেষ কথা
অটিজমে আক্রান্ত শিশু আমাদের সমাজের কিংবা দেশের বোঝা নয়। তারাও হতে পারে আমাদের
দেশের সম্পদ। শুধুমাত্র আপনাদের ইচ্ছা শক্তির দ্বারা এ সকল শিশু ও আমাদের সমাজের
জন্য অনেক কিছু করতে পারে। তাই কখনোই অটিজম রোগে আক্রান্ত শিশুর প্রতি অবহেলা করা
যাবে না। তারাও অন্যান্য শিশুর মতোই শিশু। শুধুমাত্র তাদের প্রয়োজন একটু বেশি
যত্ন। আপনি যদি আপনার শিশুর প্রতি যত্ন নিয়ে সঠিক চিকিৎসা দিতে পারেন তাহলে
আজকের এই শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ হয়ে দাঁড়াবে।
আশা করছি আমার লেখা প্রাইমারি অটিজমের লক্ষণ ও প্রতিকার এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি
আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। এরকম প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পেতে নিয়মিত
আমার লেখা আর্টিকেল গুলো পড়ুন। আমি আমার আর্টিকেলে যে সকল তথ্য দিয়েছি
ইনশাআল্লাহ আপনারা সে সকল তথ্য পেয়ে উপকৃত হবেন।
দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url