টিউমার চেনার উপায় সম্পর্কে জানুন এবং সচেতন হন

 

আপনার শরীরে ছোট বড় হয়ে কিছু জায়গায় মাংসপেশী বৃদ্ধি পেয়েছে আর আপনি চিন্তিত এটি কি টিউমার। কিন্তু আপনি জানেন না টিউমার কি । আমরা এই আর্টিকেলে টিউমার চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা খুব সহজেই টিউমার চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

টিউমার চেনার উপায়

আপনি জানেন না টিউমার কি ব্যথা হয় - কি খাবার খেলে টিউমার ভালো হয়। তা যদি জানতে চান তাহলে আমার লেখা আর্টিকেল টিউমার চেনার উপায় সম্পূর্ণ পড়ুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি টিউমার সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়ে যাবেন।

টিউমার চেনার উপায়ঃ ভূমিকা

আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত নানারকম সমস্যা বাসা বেধে থাকে। কখনো কখনো বড় বড় সমস্যা আবার কখনো ছোট সমস্যা। আমাদের জীবন ব্যবস্থা ও খাদ্যাভাস এর জন্য নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। যা আমরা অনেক সময় বুঝে উঠতে পারি না। আবার অনেক সময় বুঝতে অনেক সময় লাগে। ছোট বড় সকলে নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকি। বাংলাদেশে বিভিন্ন রকম অসুখ-বিসুখ এর মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ সকল অসুখ-বিসুখ বৃদ্ধির মূল কারণ অপুষ্টিকর খাবার খাওয়া।
বাংলাদেশের বৃদ্ধি পাওয়া অসুখ গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে টিউমার। আমরা অনেকে আছি যাদের টিউমার হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা টিউমার আর ক্যান্সার এর মধ্যকার পার্থক্য বুঝিনা। আমরা মনে করি টিউমার মানেই ক্যান্সার। আসলেই কিন্তু তা না। অনেক রকম টিউমার হয়েছে। যেগুলোর আকার, অসুবিধা আলাদা আলাদা। কিন্তু আমরা সঠিক তথ্য না জানার কারণে অনেক রকম ভুল করে থাকি। তাই আপনাদের আজকে টিউমার সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছি এবং আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি টিউমার কি ব্যথা হয় - কি খাবার খেলে টিউমার ভালো হয়। 

টিউমার কি

টিউমার কি আসলেই কি আমরা সঠিকভাবে তা জানি। অনেকেই বলবে হ্যাঁ কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ টিউমার সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানেনা। আমাদের শরীরের স্বাভাবিক টিস্যুর সমাবেশ যেই জায়গায় কোষ গুলো অস্বাভাবিক ভাবে সংখ্যা বাড়িয়ে থাকে। তাকেই টিউমার বলা হয়ে থাকে। আর সহজ ভাষায় টিস্যু বলতে বোঝাই একই ধরনের কিছু কোষ কোন জায়গায় একসাথে হয়ে একই ধরনের কাজ করে। টিউমার সাধারণত ৩ ধরনের হয়ে থাকে। যেমনঃ

১। হিস্টোমা বা কানেকটিভ টিস্যু টিউমার
২।সাইটোমা
৩।টেরাটোমা বা মিক্সড সেল টিউমার

এই তিন রকম টিউমার এর ভেতর হিস্টোমা টিউমার আবার দুই রকমের হয়ে থাকে। এক হচ্ছে বিনাইন টিউমার। আরেকটি মালিগন্যান্ট টিউমার। সাধারণত ম্যালিগনেন্ট টিউমার কে ক্যান্সারের প্রথম ধাপ বলা হয়ে থাকে।

টিউমার চেনার উপায়

আমাদের শরীরে টিউমার হলে আমরা অনেক সময় চিন্তিত হয়ে পড়ি। এই টিউমার ক্যান্সার এর কারণ হবে না তো। কিন্তু আমরা জানি না কোন টিউমার সাধারণ টিউমার। আর কোন টিউমার ক্যান্সারের প্রথম ধাপ। তাই নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমাদের টিউমার এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলেই আমরা বুঝতে পারবো যে আমাদের শরীরের টিউমারটি কোন ধরনের টিউমার। নিচে টিউমার চেনার উপায় বৈশিষ্ট্য করা হলোঃ

বিনাইন টিউমারঃ বিনাইন টিউমার সাধারণত খুব একটা মারাত্মক টিউমার নয়। আসুন এই টিউমার সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিই।
  • এই এই টিউমার টি সাধারণত একটি আবরণ দ্বারা আবৃত থাকে।
  • এটি সাধারণত শরীরের অন্য কোন স্থানে ছড়ায় না।
  • এই টিউমার বৃদ্ধি পেতে অনেক সময় লাগে।
  • টিউমার অপারেশন করার মাধ্যমে ঠিক হয়ে যায়।
ম্যালিগনেন্ট টিউমারঃ এই ধরনের টিউমারকে মারাত্মক টিউমার বলা হয়ে থাকে। এই টিউমার সাধারণত ক্যান্সারের প্রথম ধাপ বলা হয়ে থাকে। আসুন এই টিউমার এর বৈশিষ্ট্য জেনে নিই।
  • এই টিউমার কোন আবরণ দ্বারা আবৃত না থাকায় অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পায়।
  • এই টিউমার খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
  • এই টিউমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সংক্রমণ ঘটায়।
  • এই টিউমার খুব দ্রুত পুরো শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে।
  • এই ধরনের টিউমার প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করালে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিন্তু ভবিষ্যতে আবার হতে পারে।

টিউমার কি ব্যথা হয়

মানুষের শরীরের সাধারণত দুই ধরনের টিউমার দেখা দেয়। এক ধরনের টিউমার রয়েছে যেগুলো অপারেশনের মাধ্যমে ভালো হয়ে যায়। আর এক ধরনের টিউমার রয়েছে যেগুলো দেখা দিলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সে সকল টিউমার এর ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সব ধরনের টিউমার এর ব্যথা হয় না। অনেক ধরনের টিউমার রয়েছে যা শরীরের মাংসপেশী বেড়ে যাওয়ার মত হয়ে থাকে। সে সকল টিউমারে সাধারণত ব্যথা অনুভব হয় না।
কিন্তু সেই টিউমার যদি ক্যান্সারের পর্যায়ে যেতে থাকে তাহলে মাংসপেশী হঠাৎ বেড়ে যেতে শুরু করে এবং তীব্র ব্যথা শুরু হয়। অনেক টিউমার আছেই যেগুলো শরীরে ঘা এর মত দেখা দেয়। দীর্ঘদিন যাবত সেই ঘা ভালো হয় না। টিউমার বিভিন্ন রকম হতে পারে। হতে পারে সেই টিউমার ব্যথা যুক্ত আবার হতে পারে সেই টিউমার ব্যথা মুক্ত। তাই টিউমার হলেই যে ব্যথা হবে তা কিন্তু নয়। 

টিউমার দেখতে কেমন হয়

আমাদের শরীরে টিউমার বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। যেগুলো দেখতে বিভিন্ন রকম হয়। আমরা অনেকে সেই সকল বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখি না। কিন্তু আমাদের উচিত সেই সকল বিষয় গুলোকে গুরুত্ব দেওয়া। এবং যদি মনে হয় টিউমার হয়েছে তাহলে দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়া। আমাদের শরীরে টিউমার দেখতে কেমন হয় সেই সম্পর্কে কিছু ধারণা আপনাদের দেওয়ার চেষ্টা করছি। আসুন জেনে নেই টিউমার দেখতে কেমন। কিছু কিছু টিউমার রয়েছে যেগুলো শরীরের মাংসপেশী বেড়ে যাওয়ার মত মনে হয়।

মনে হয় শরীরের কোন এক অংশের মাংস বেড়ে গেছে। এই টিউমার হলে সেই অংশে খুব একটা ব্যথা অনুভূত হয় না। এই টিউমার সাধারণত মস্তিষ্ক, পেট, স্তন, ঘাড় এ হয়ে থাকে।আবার এক ধরনের টিউমার রয়েছে যেগুলো শরীরে আঁচিল এর মত হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন এর পুরনো আঁচিল ও হতে পারে এক ধরনের টিউমার। এক কথায় টিউমার হচ্ছে শরীরের শক্ত টিস্যুর ভর। তাই শরীরের যেকোনো অংশে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেখলে অবশ্যই আপনাকে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিতে হবে।

টিউমার কোথায় কোথায় হয়

আমরা অনেকেই জানিনা টিউমার কোথায় কোথায় হয়। সারা শরীর জুড়ে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন জায়গায় ছোট ও বড় গুটির মতো টিউমার হয়ে থাকে। আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ রয়েছে যেগুলোতে টিউমার দেখা দেয়। যেমন মানুষের মস্তিষ্কে ব্রেন টিউমার হয়ে থাকে। তাছাড়াও শরীরের গলা, ঘাড়, নাক, পেট এ বিভিন্ন রকম বড় কিংবা ছোট টিউমার হতে পারে। 

বিশেষ করে মহিলাদের ভেতর আজকাল ব্রেস্ট টিউমার খুব বেশি দেখা যায়। অনেক সময় গলায় টিউমার এর কারণে গলার স্বর পাল্টে যেতে পারে। শরীরের যে অংশেই টিউমার হোক না কেন তা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই শরীরের যেকোনো স্থানে টিউমার দেখা দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।

টিউমার ভালো করার উপায়

আমরা সকলেই জানি বা বিশ্বাস করি যে টিউমার মানেই অপারেশন। আর সেই টিউমার যদি ক্যান্সারের রূপ নেয় তাহলে কেমোথেরাপি বা বিভিন্ন ধরনের উন্নত মানের চিকিৎসা নিতে হবে। সে সকল চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। যা সকলের সাধ্যের মধ্যে থাকে না। টিউমার যখন মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে যায় তখন তা অপারেশন করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। কিন্তু টিউমার প্রথম পর্যায়ে আমরা কিছু বিষয়ে মেনে সে সকল টিউমার প্রতিরোধ করতে পারবে। টিউমার ভালো করার উপায় সমূহ নিচে আলোচনা করা হলো।
  • ধূমপান হতে বিরত থাকতে হবে এবং তামাক পুরোপুরি ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ তামাক এমন একটি উপাদান যা শরীরের টিউমারের ঝুঁকি অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়।
  • আমরা সকালবেলা যখন ঘুম থেকে উঠি তখন আমাদের সকলের মুখে এক ধরনের লালা বের হয়ে থাকে। সেই লালা টিউমার এর স্থানে ১ থেকে ২ মিনিট লাগিয়ে রাখতে পারেন।
  • অ্যালোভেরা জেল আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্য খুবই উপকারী আমরা তা জানি কিন্তু অ্যালোভেরা জেল আমাদের টিউমারের জন্য ও খুবই উপকারী। টিউমার কমাতে প্রতিদিন এক কাপ অ্যালোভেরা জুস পান করতে পারেন।
  • টিউমার নিরাময়ের জন্য হলুদ খুব ভালো কাজ করে থাকে। এক কাপ কুসুম গরম দুধে আধা চা চামচ হলুদ মিশিয়ে পান করুন। দেখবেন এটি আপনার টিউমার প্রতিরোধে অনেক বেশি কাজ করেছে।
  • মধুর উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। সবকিছুর ক্ষেত্রে মধুর উপকারিতা অনেক বেশি। সে রকম টিউমার প্রতিরোধ এর ক্ষেত্রেও মধুর গুরুত্ব অনেক বেশি। একটি ব্লেন্ডারে কিছু পরিমাণ ঘাস ও গম ব্লেন্ড করে নিয়ে তার সাথে মধু মিশিয়ে একটি প্রলেপ তৈরি করুন। সেই প্রলেপটি টিউমারের উপর লাগিয়ে একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন। এভাবে সারারাত রেখে দিন। সকালে তা পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার টিউমার প্রতিরোধে অনেক বেশি কার্যকরী।
  • সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি টিউমার এর জন্য খুবই ক্ষতিকারক। তাই যতটা সম্ভব অতিরিক্ত সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • যৌন অভ্যাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কারণ অনিয়ন্ত্রিত যৌন মিলনের ফলে বিভিন্ন রকম রোগে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি টিউমারের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।

টিউমার হলে কি খাওয়া নিষেধ

আমরা জীবন ধারণ করার জন্য প্রতিনিয়তই কত রকমই খাবার খেয়ে থাকি। পুষ্টিকর অপুষ্টিকর খাবার প্রতিনিয়ত খেয়ে যাচ্ছি। আর সে কারণে আস্তে আস্তে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম অসুখ বাসা বাঁধছে। আর সেই সকল অসুখ নিরাময়ের জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কত চেষ্টা করে চলেছি। সে রকম একটি অসুখ হচ্ছে টিউমার। টিউমার এমন একটি অসুখ যা আমাদের শরীরের কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। অবশ্যই যদি টিউমার হয়ে থাকে তো কিছু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো আমাদের কখনোই খাওয়া উচিত নয়। সে সকল খাবার গুলো হলোঃ

১। আমাদের শরীরে টিউমার দেখা দিলে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ও আলুর চিপস এই ধরনের খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই একটু ভেবে দেখতে হবে। কারণ এ সকল স্ন্যাকজাতীয় খাবারে রয়েছে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী অ্যাক্রাইলেমাইডের নামক এক রাসায়নিক যৌগ। যার মাধ্যমে একটি মানুষের শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি হতে পারে। তাই এগুলো খাওয়া থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকতে হবে।
২। আজকাল মাইক্রোওভেনে খাবার গরম করে খাওয়া সকলের কাছে একটি স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অল্প সময়ে খুব সহজে মাইক্রোওভেনে অনেকেই ভুট্টার পপকর্ন ঘরে বসে বানিয়ে খেতে অনেক পছন্দ করে। কিন্তু এটি আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। ভুট্টা থেকে কই তৈরির করে খাওয়ার ফলে ক্যান্সারের যেতে পারে। কারণ যেই পাত্রে ভুট্টা দেখে খই তৈরি করা হয় সেই পাত্র থেকে এক ধরনের এসিড নির্গত হয় যার নাম হচ্ছে পারফ্লোরোওক্টানোয়িক। যা আমাদের শরীরে খুব সহজেই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

৩। আমাদের সকলের কাছেই শোডা একটি অতি পছন্দনীয় পানীয়। গরমের সময় আমাদের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য আমরা সোডা খুব বেশি পছন্দ করে থাকি। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। সোডার মধ্যে রয়েছে অ্যাসপার্টেমের মতো কৃত্রিম চিনি। যা খুব সহজে আমাদের শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। তাই এই পানীয়টি পান করার পূর্বে অবশ্যই ভেবে পান করা উচিত।

৪। অ্যালকোহল পান করার মাধ্যমে আমাদের শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়। বাইরের দেশে অ্যালকোহল পান করা শরীরের জন্য উপকারী মনে করা হয়ে থাকে। কিন্তু সে সকল দেশের মোট মৃত্যু ৩ শতাংশ মৃত্যু হয় শুধুমাত্র অ্যালকোহল পান করার ফলে। অ্যালকোহল শরীরের সুস্থ কোচ গুলোকে ধ্বংস করে দেয় ফলে পরবর্তীতে ক্যান্সার কোষ সমূহ সেসকল স্থান পূরণ করে নেয়। যা একটি মানুষের মৃত্যুর দিকে নিয়ে যেতে খুব বেশি কার্যকরী। তাই শরীরে টিউমার হলে অবশ্যই অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা উচিত।

৫। প্লাস্টিক বোতলেও রয়েছে বিসফেনোল। যা আমাদের শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে থাকে। ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে ফ্রান্সে ২০১৩ সালে বিসফেনোল ব্যবহার করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।বিসফেনোল এর কারনে মহিলাদের স্তনের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

কি খাবার খেলে টিউমার ভালো হয়

আমাদের শরীরে টিউমার দেখা দিলে তা প্রতিরোধ করার জন্য আমরা কিছু খাবার খেতে পারি। সেই সকল খাবারের সাহায্যে আমাদের শরীরে থাকা টিউমার প্রতিরোধ করা সম্ভব। আমাদের শরীরে টিউমার অনেক সময় ব্যথা হয় আবার অনেক সময় ব্যথা হয় না। আমরা অনেকেই জানিনা আসলে টিউমার কি ব্যথা হয় - কি খাবার খেলে টিউমার ভালো হয়। আসুন কি খাবার খেলে টিউমার ভালো হয় তা জেনে নিই।

১। আমাদের শরীরে কিছু কিছু টিউমার রয়েছে যেগুলোর বৃদ্ধি অনেক আস্তে আস্তে হয়ে থাকে। যা আমাদের শরীরের জন্য খুব একটা ক্ষতিকারক হয় না। অনেক রকমের সবুজ শাকসবজি রয়েছে সেগুলো তে টিউমার বৃদ্ধির গতি কমানোর গুণ রয়েছে। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ও গুণ রয়েছে। সেহেতু আমাদের শরীরে টিউমার নিরাময়ের জন্য প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। এতে করে শুধু টিউমার নয় আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যা থাকলে তা সমাধান হয়ে যাবে।

২। আমাদের বলা হয় মাছে ভাতে বাঙালি। আমরা মাছ খেতে খুব বেশি পছন্দ করে থাকি। আমাদের দেশে নদীর সংখ্যা বেশি হয় অনেক ধরনের মাছ খুব সহজেই পাওয়া যায়। আর সেই মাছের মধ্যে রয়েছে টিউমার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। মাঝে রয়েছে কোলেস্টেরল যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাছাড়াও মাঝে পাওয়া যায় ওমেগা 3 ও ফ্যাটি এসিড অন্টিটিউমার ও অ্যান্টি ক্যান্সার বৈশিষ্ট্য। যা আমাদের শরীরে টিউমার ও ক্যান্সারের বিরুদ্ধে খুব ভালো কাজ করে থাকে।

৩। টিউমার প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে হলুদ। হলুদ আমাদের শরীরের টিউমার প্রতিরোধে খুব ভালো কাজ করে থাকে। তাই এক গ্লাস কুসুম গরম দুধে সামান্য পরিমাণ হলুদ মিশিয়ে পান করলে তা টিউমার প্রতিরোধ করতে খুব ভালো কাজ করে। হলুদে রয়েছে কারকিউমিন যা মানুষের শরীরে প্রদাহ জনিত সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে থাকে। তাই টিউমার প্রতিরোধের জন্য নিঃসন্দেহে হলুদ খেতে পারেন।

৪। আমরা টিউমার প্রতিরোধের জন্য অ্যালোভেরা জুস ও খেতে পারি। কারণ অ্যালোভেরা জুস আমাদের শরীরে প্রবেশ করে আমাদের শরীরে টিউমার কোষগুলোকে ধ্বংস করতে পারে। তাই শরীরে টিউমার প্রতিরোধ করতে চাইলে নিয়মিত এক কাপ অ্যালোভেরা জুস পান করতে পারেন।

টিউমার চেনার উপায়ঃ শেষ কথা

আমাদের শরীরে টিউমার দেখা দিলে তা চেপে না রেখে আমাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ টিউমার থেকে হতে পারে ক্যান্সার। যা আপনার মৃত্যুর কারণ ও হতে পারে। আপনার শরীরে যদি টিউমার থেকে থাকে তাহলে সেটি মারাত্মক নাকি মারাত্মক নয় তা নিশ্চয়ই আমার এই আর্টিকেল পড়ে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। আশা করছি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে টিউমার সম্পর্কে এবং টিউমার চেনার উপায়সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন।

এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি কোন একজন ব্যক্তি ও সুবিধা পেয়ে থাকেন তাহলে সেটি আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। এরকম আরো প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে নিয়মিত আমার লেখা আর্টিকেল গুলো পড়ুন। আমি আপনাদের মাঝে এরকম প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url