ডিপ্রেশন থেকে বের হওয়ার উপায়

আপনার লাইফে কি দিন দিন ডিপ্রেশন বেড়েই চলেছে? আপনি কি ডিপ্রেশন থেকে বের হওয়ার উপায় খুঁজছেন? তাহলে আমার লেখা ডিপ্রেশন থেকে বের হওয়ার উপায় এই আর্টিকেলটি পড়ুন। এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের জন্য ডিপ্রেশন থেকে বের হওয়ার উপায় ও ডিপ্রেশন হলে কি কি সমস্যা হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।
ডিপ্রেশন থেকে বের হওয়ার উপায়
আশা করছি আমার লেখা ডিপ্রেশন থেকে বের হওয়ার উপায় এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হবেন। আপনার লাইফে ডিপ্রেশন কমাতে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ডিপ্রেশন কি

ডিপ্রেশন এই কথাটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। কমবেশি প্রতিটি মানুষ কখনো না কখনো ডিপ্রেশন এর সম্মুখীন হয়েছেন। মানুষের ডিপ্রেশন এ পরার নির্দিষ্ট কোন বয়স থাকে না। ডিপ্রেশন এর কারণে একটি মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার মাঝে অনেক রকম পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। ডিপ্রেশন হচ্ছে এক ধরনের মানসিক রোগ। অনেকেই এই ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেয়ে থাকেন আর অনেকে ডিপ্রেশন এর কাছে হার মেনে নিজের জীবন দিয়ে দেয়। 
আপনি কি আসলেই জানেন ডিপ্রেশন কি অথবা ডিপ্রেশন থেকে বের হওয়ার উপায় কি। আমাদের জীবনে আমরা খুব সহজেই ডিপ্রেশনে পড়ে যাই কিন্তু তা থেকে বের হতে আমাদের অনেক সময় লেগে যায়। বিভিন্ন কারণে একটি মানুষ ডিপ্রেশন এ ভুগতে পারেন। একটি মানুষ যদি ডিপ্রেশনে পড়ে যায় তাহলে সেই ডিপ্রেশন থেকে সহজে বেরিয়ে আসা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO) ডিপ্রেশনকে কয়েকটি বিষয় দ্বারা চিহ্নিত করেছেন সেগুলো হচ্ছেঃ
  • নিজের মাঝে অপরাধবোধ কাজ করা
  • নিজেকে মূল্যহীন লাগা
  • জীবনে বিভিন্ন রকম দুঃখ থাকা
  • লাইফে আগ্রহ কিংবা আনন্দ হারিয়ে ফেলা
  • শরীরের ক্লান্তি ভাব লেগে থাকা
  • দুর্বল মনোযোগ হয়ে পড়া

ডিপ্রেশন কেন হয়

আমাদের সকলের জীবনে আনন্দের পাশাপাশি দুঃখ রয়েছে। আর সেই দুঃখের কারণে কিংবা জীবনে বিভিন্ন ঘটনার কারণে আমাদের মন অনেকটা খারাপ হয়ে যায়। আর সেই মন খারাপ আমাদের মানসিক কষ্ট বাড়াতে সাহায্য করে। আর সেই মন খারাপ যখন আমাদের জীবনে অতিরিক্ত পরিমাণ বেড়ে যায় তখন তা রূপ নেই ডিপ্রেশন এর। 
কিছু কিছু মানুষ আছে যারা এই ডিপ্রেশন থেকে নিজেকে বের করে আনতে পারে কিন্তু কিছু কিছু মানুষ আছে যারা ডিপ্রেশন থেকে নিজেকে বের করে আনতে পারে না। আর তারা দিনের পর দিন মানসিক কষ্টে ভুগতে থাকেন। তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বিভিন্ন রকম পরিবর্তন হয়ে যায়। যা একটি মানুষের জন্য ভয়ংকর রূপ ধারণ করতে পারে। তাই আমাদের সকলের অবশ্যই ডিপ্রেশন থেকে বের হওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে থাকতে হবে। 

এখন আসি ডিপ্রেশন কেন হয়। একটি মানুষের মাঝে ডিপ্রেশন দেখা দেওয়ার নির্দিষ্ট একটি কারণ থাকেনা। বিভিন্ন রকম কারণে একটি মানুষ এর মাঝে ডিপ্রেশন দেখা দিতে পারে। আসুন জেনে নেই একটি মানুষের ডিপ্রেশন কেন হয়।
  • অনেক সময় দেখা যায় পরিবারগত ভাবেও একটি মানুষের ডিপ্রেশন হতে পারে।
  • আর্থিক সমস্যার কারণে মানুষের ডিপ্রেশন হতে পারে।
  • একটি মানুষের মাঝে ভিটামিন ডি এর অভাব ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
  • শারীরিক অসুস্থতার কারণে মানুষের মাঝে ডিপ্রেশন দেখা দেয়।
  • হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও মহিলারা ডিপ্রেশনের সম্মুখীন হতে পারে।
  • বিভিন্ন রকম রিলেশন ভেঙে যাওয়ার কারণেও অনেক সময় অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা ডিপ্রেশনে পড়ে যায়।

ডিপ্রেশনের লক্ষণ কি কি

আমরা আমাদের জীবনে কোন রকম কষ্ট পেলে খুব সহজেই ডিপ্রেশনে পড়ে যাই কিন্তু সেই ডিপ্রেশন থেকে বের হতে অনেক সময় অনেক বেশি সময় প্রয়োজন পড়ে। কারন আমরা অনেকেই জানিনা ডিপ্রেশন থেকে বের হওয়ার উপায় কি। একটি মানুষ যখন ডিপ্রেশনে পরে তখন সেই মানুষের স্বাভাবিক জীবনে অনেক রকম পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। 
তার জীবন স্বাভাবিক জীবন থেকে একটু ভিন্ন হয়ে দাঁড়ায়। তাই আমাদের উচিত আমাদের আশেপাশের কেউ যদি ডিপ্রেশনে ভোগে তাহলে তাকে সেই ডিপ্রেশন থেকে বের করার চেষ্টা করা। একটি মানুষের কিছু কিছু লক্ষণ রয়েছে যে সকল লক্ষণ দেখলে সহজেই বোঝা যায় যে সেই ব্যক্তি ডিপ্রেশন সমস্যায় ভুগছেন। লক্ষণগুলো হলোঃ
  • সে ব্যক্তি সব সময় নিজেকে দোষী মনে করবে।
  • সব সময় তার জীবনের প্রতি একটি আফসোস থেকে যাবে সে জীবনে কিছুই করতে পারল না।
  • যে কোন কাজে সহজে মনোযোগ দিতে পারবে না।
  • কোন কিছু সহজেই ভুলে যাই কোন কিছু মনে রাখতে পারে না এটিও ডিপ্রেশন এর লক্ষণ হয়ে থাকে।
  • সারাদিন সব সময় হতাশায় থাকে।
  • সারাদিন ক্লান্তি ভাব অনুভব করা।
  • হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া কিংবা কমে যাওয়া।
  • বাইরের মানুষের সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দেওয়া।
  • অনেক সময় আত্মহত্যা করার চেষ্টা করা।
  • কারো সাথে কথা না বলা।
  • নিজেকে ঘরের মাঝে একা রাখা।

ডিপ্রেশন হলে কি কি সমস্যা হয়

ডিপ্রেশনের কারণে একটি মানুষের মাঝে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। ডিপ্রেশন এবং সাধারণ মন খারাপ এক নয়। ডিপ্রেশন একটি মানসিক রোগ তাই ডিপ্রেশনের ফলে একটি মানুষের জীবনে বিভিন্ন রকম পরিবর্তন দেখা যায়। ডিপ্রেশনের ফলে মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে নিজেকে সকলের থেকে আলাদা করতে থাকে। যা একটি মানুষের জীবনে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে। ডিপ্রেশন হলে কি কি সমস্যা হয় তা আলোচনা করলাম।
  • যেকোনো কাজের প্রতি মনোযোগ এবং উৎসাহ কমে যায়।
  • খিদে কমে যায় সহজে কিছু খেতে মন চায় না।
  • নিজেকে সব সময় ব্যর্থ মনে হওয়া কিংবা অনুশোচনায় ভোগা।
  • ঘুম বেড়ে যাই অথবা ঘুম কমে যায়।
  • সব সময় কাজে আলস্য ভাব থাকা কিংবা ক্লান্তি অনুভূতি হয়।
  • যে কোন কাজে শরীরে শক্তি না পাওয়া

ডিপ্রেশন থেকে বের হওয়ার উপায়

আমরা অনেকেই রয়েছি যারা বিভিন্ন রকম দুঃখ কষ্ট পেয়ে ডিপ্রেশনে পড়ে তো যায় কিন্তু তা থেকে সহজে বের হতে পারি না। কারণ আমরা ডিপ্রেশন থেকে বের হওয়ার উপায় সম্পর্কে কিছুই জানিনা। ফলে আস্তে আস্তে এই ডিপ্রেশন আমাদের জীবনে অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসে। অনেক সময় ডিপ্রেশন এর কারণে আমাদের জীবনে বড় রকমের ক্ষতি হয়ে যায়। যা আমরা বুঝতেও পারি না। 

বৃদ্ধ বয়সের মানুষের থেকে কম বয়সের মানুষের মাঝে এই সমস্যাটি বেশি দেখা যায়। অল্প বয়সে ছেলেমেয়েরা অল্পতেই ডিপ্রেশন এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। জীবন যাত্রার বিভিন্ন রকম পরিবর্তন, আর্থিক সমস্যা, রিলেশনশ এর বিভিন্ন রকম সমস্যা, শারীরিক সমস্যার কারণে একটি মানুষ ডিপ্রেশনে পড়তে পারে। আপনাদের সামনে আমি এখন ডিপ্রেশন থেকে বের হওয়ার কিছু উপায় আলোচনা করব।
  • নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে, নিজের করতে ভালো লাগে এমন কাজ করা।
  • প্রতিদিন আধা ঘন্টা করে ব্যায়াম করতে হবে তার ফলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র শান্ত থাকবে ও এন্ডোরফিন নামক হরমোনের ক্ষরণ বাড়ায় যা আমাদের মনকে ভালো রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
  • যেকোনো ধরনের মাদকদ্রব্য কিংবা সিগারেট থেকে নিজেকে দূরে রাখা।
  • মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করতে হবে।
  • গান শোনার ফলে আমাদের শরীরের হ্যাপি হরমোন বৃদ্ধি পায় যা আমাদের ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে।
  • বিভিন্ন রকম মেডিসিন রয়েছে যা দ্বারা ডিপ্রেশন কমিয়ে আনা সম্ভব।
  • সাইকোলজিক্যাল থেরাপি দাড়াও একটি মানুষের মাঝে ডিপ্রেশন কমানো যায়।

ডিপ্রেশন এর চিকিৎসা

ডিপ্রেশন আমাদের জীবনে কমবেশি সকলেই এ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। হয়তো কেউ এই ডিপ্রেশন থেকে নিজেকে বের করে নিতে পেরেছে আবার কেউ বের করতে পারেনি। ডিপ্রেশন একটি মানসিক রোগ যা একটি মানুষকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়। ডিপ্রেশন থাকলে আমরা অনেক সময় মনে করে থাকি একটি মানুষের শুধুমাত্র মানসিক রোগ হয়েছে। 

আর তাকে মানসিক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। ডিপ্রেশনের সমস্যা শুধু মাত্র মানসিক কারণেই হয় তা কিন্তু নয়। এটি মানসিক মানসিক সামাজিক এবং দৈহিক বিভিন্ন কারণে হতে পারে। ডিপ্রেশনের রোগী যদি অধিক মাত্রায় ডিপ্রেশন এ চলে যায় তাহলে তাকে ঔষধ খেতে হবে এবং তার পাশাপাশি কাউন্সিলিং কিংবা সাইকো থেরাপি চিকিৎসা নিতে হবে। 

এগুলোর পাশাপাশি তাকে সামাজিক চিকিৎসাও নিতে হবে যা আমাদের আশেপাশের মানুষের কাছে আমরা পেয়ে থাকি। আমাদের আশেপাশের যদি কেউ ডিপ্রেশনে ভোগেন তাহলে তাকে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিতে হবে।

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির ঔষধ

ডিপ্রেশন এ থাকা রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ খেতে হবে। ডিপ্রেশনের মাত্রা যদি বেশি হয় তাহলে ঔষধের পাশাপাশি তাকে কাউন্সিলিং এর সাহায্য নিতে হবে। তাছাড়াও তার আশেপাশের ও পরিবারের মানুষদের বিশেষভাবে তার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।

ডিপ্রেশন এ থাকা রোগীর প্রতি কোনো রকম অবহেলা করা যাবে না।ডিপ্রেশন রোগীর প্রতি অবহেলা তার জন্য মারাত্বক ক্ষতির কারণ হতে পারে।যে কোন প্রকার ঔষধ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অবশ্যই খেতে হবে। আপনাদের জানার জন্য ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির ঔষধ এর নাম নিচে দেওয়া হল।
  • সিলেক্টিভ সেরোটোনিন রিউপটেক ইনহিবিটরস
  • ডিপ্রেস ৫ এম জি ট্যাবলেট
  • ভেনলফাক্সিন
দ্রষ্টব্যঃ অবশ্যই এই ঔষধ খাওয়ার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর ঔষধ খাবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না।

ডিপ্রেশনের ওষুধ কতদিন খেতে হয়

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রথমেই আমাদের ডিপ্রেশন থেকে বের হওয়ার উপায় সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। তাছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খেতে হবে। ডিপ্রেশনের ঔষধ খাওয়া শুরু করলে এটি দীর্ঘসময় ধরে খেতে হয়। সাত দিন,দশ দিন কিংবা শুধুমাত্র এক মাস এই ঔষধ খেয়ে যদি খাওয়া বাদ দিয়ে দেন তাহলে কোনরকম কাজে আসবে না। তাই অবশ্যই তাদেরকে দীর্ঘ সময় ধরে ওষুধগুলো খেতে হবে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উচিত ডিপ্রেশনে থাকা রোগীকে ঔষধ গুলো খেতে উৎসাহিত করা। ডিপ্রেশনে থাকা রোগীর উপর কোন রকম করুণা করা যাবে না ফলে তাদের মাঝে ডিপ্রেশন আরো বেড়ে যেতে পারে।

পরামর্শমূলক কিছু কথা

ডিপ্রেশন এ থাকা কোনরকম লজ্জার কিংবা অপমানের বিষয় না। আপনি যদি কোন রকম ডিপ্রেশনে থেকে থাকেন তাহলে এটি অবশ্যই আপনার কাছের কোন মানুষের কাছে প্রকাশ করবেন। ডিপ্রেশন থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করবেন। আপনি যদি ডিপ্রেশন থেকে বেরিয়ে না আসেন তাহলে এটি আপনার লাইফকে পুরোপুরি শেষ করে দিতে পারে। 

তাই ডিপ্রেশন থেকে বের হওয়ার একমাত্র ঔষধ হচ্ছে ডিপ্রেশনে থাকা রোগী নিজেই। তাই অবশ্যই ডিপ্রেশনে থাকলে নিজের মনকে বুঝিয়ে তা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করুন।আশা করছি আমার লেখা ডিপ্রেশন থেকে বের হওয়ার উপায় এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে ডিপ্রেশন থেকে বের হতে হবে। 

আপনি যদি ডিপ্রেশনে থাকেন তাহলে উপরে উল্লেখিত উপায় গুলো প্রয়োগ করে দেখতে পারেন। আপনার অনেক কাজে দেবে। এরকম প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পেতে নিয়মিত আমার লেখা আর্টিকেল গুলো পড়ুন। আমার লেখা আর্টিকেল পড়ে আশা করছি আপনারা আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্যা বর্ষা ওয়েব সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url